মর্গেজ সুদের যাঁতাকলে লন্ডনের বাড়ি মালিকেরা
লন্ডনের কিছু এলাকায় বাড়ির মালিকেরা বন্ধকী ঋণ পরিশোধে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন। অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি (ওবিআর)-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে মর্গেজের সুদ পরিশোধ ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১৪.৮ শতাংশে পৌঁছবে।
সরকারের নিরপেক্ষ পূর্বাভাস ইউনিট থেকে প্রস্তুত একটি প্রতিবেদনের ডাটা থেকে এ তথ্য গ্রহন করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রাজধানী লন্ডনের বাড়ির মালিকেরা ২০০৮ সাল থেকে এপর্যন্ত সবচেয়ে বড়ো ধরনের সুদ বৃদ্ধির সম্মুখীন হবেন। সমালোচকেরা নীতিটি থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করবে।
এক্ষেত্রে লন্ডনের সবচেয়ে দুর্ভোগপীড়িত এলাকা হচ্ছে কেনসিংটন, যে এলাকায় মর্গেজ সুদের পরিমান বছরে ৩১৪০ পাউন্ড। এর পরের স্থানে রয়েছে লন্ডন নগরী, ওয়েস্ট মিনিস্টার (২১৯৬ পাউন্ড), চেলসি ও ফুলহ্যাম (২০৮৩ পাউন্ড) এবং হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন (১৭৮০ পাউন্ড)।
লিবারেল ডেমোক্রেটি নেতা এড ডেভি প্রকাশিত তথ্যাদির আলোকে দ্রুত ইউ-টার্ন নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কর ও মর্গেজের ব্যয় বৃদ্ধিসহ এই বাজেট লন্ডনের বাড়ির মালিকদের জন্য আর্থিক আঘাত হয়ে দেখা দেবে। রাজধানীর ওয়েস্ট মিনিস্টার থেকে রিচমন্ড পর্যন্ত বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সংকট মারাত্মক দুর্ভোগে ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারকে এই মর্গেজ টাইমবোম নিষ্ক্রিয় এবং ক্রমবর্ধমান কর বৃদ্ধি বাতিল করতে হবে, যা পরিবারগুলোকে বার্ষিক হাজার পাউন্ডের গচ্ছায় ফেলে দেবে। বাড়ির মালিকেরা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত, যা মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ন ব্যর্থ। এতে দেখা যায় যে, বরিস জনসন লোকজনকে মূল্যায়নে ব্যর্থ হচ্ছেন।
‘রিসোলিউশন ফাউন্ডেশন’- এর বিশ্লেষন অনুসারে, গড়পড়তা গৃহস্থালীসমূহকে কর হিসেবে বছরে অতিরিক্ত ৩ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে।