দেশের বৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য শোলাকিয়া প্রস্তুত
দেশের বৃহৎ ঈদুল আজহার নামাজের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান। এখানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়। এবার ঈদের জামাত হবে ১৮৬তম। ঈদ জামাত নির্বিঘœ করতে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিদের ঈদ জামাত সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসন মাঠের উন্নয়ন কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে। এবার ১৮৬তম জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মুসল্লিদের ঈদ জামাত নির্বিঘœ করতে ঈদের দিন পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বিশেষ নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে সিসি ক্যামেরা সংযোজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার ১৮৬তম জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদ জামাত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঈদগাহ মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন, মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধা, ওজুর ব্যবস্থা, খাবার পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম স্থাপন ও মাঠে নামাজের জন্য মাইকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়ায় জেলার বিভিন্ন সরকারি বিভাগগুলো বিশেষ করে জেলা পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কিশোরগঞ্জ পৌরসভা, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জনস্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস, জেলা স্কাউট ও জেলা তথ্য বিভাগের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে।
উল্লেখ্য, শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠ। শোলাকিয়া মাঠের পূর্বনাম ছিল ইচ্ছাগঞ্জ। শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির পূর্বপুরুষ শাহ সুফি মো. সৈয়দ আহম্মেদ ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দের এ স্থানে সর্বপ্রথম একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের শেষ ভাগে শোলাকিয়া মাঠের গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তী সময় হয়বতনগরের শেষ জমিদার দেওয়ান মো. মানান দাদ খান ১৯৫০ সালে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের নামে দুই একর ৩৫ শতাংশ জমি ওয়াকফ দলিল করেন। হয়বতনগর জমিদার সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ ১৮২৯ সন হতে ১৯২১ সন পর্যন্ত এই শোলাকিয়া মাঠে ইমাম ছাড়াও তিনি এই ঈদগাহের সর্বপ্রথম মোতাওয়ালী ছিলেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে হয়বতনগর জমিদার পরিবার থেকে মোতোয়ালি নিযুক্ত হয়ে আসছেন। বর্তমান মোতোয়ালি এই জমিদার পরিবারের সদস্য দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান মঈন।