ভুল এসাইলাম সিদ্ধান্তে করদাতাদের বার্ষিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ড গচ্ছা
সাম্প্রতিক এক গবেষনায় দেখা গেছে, ভুল এসাইলাম সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাজ্যের করদাতাদের লাখ লাখ পাউন্ড খেসারত দিতে হচ্ছে। এদসঙ্গে অবিলম্বে এই ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন পদ্ধতির উন্নয়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। এসাইলাম পদ্ধতিতে ব্যর্থতার দরুন মন্ত্রীদের অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা মারাত্মক অর্থনৈতিক ও মানব ব্যয়ের দিকে ধাবিত করছে। শুধুমাত্র সফল আপীলের বিরুদ্ধ লড়াইয়ে সরকারকে বার্ষিক ৪ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হচ্ছে।
প্রো বনো ইকোনোমিক্স কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আফগানিস্তান ও সুদানের মতো যুদ্ধ পীড়িত দেশসমূহ থেকে আগত এসাইলাম প্রার্থীদের হোম অফিসের বিরুদ্ধে আপীলে জয়লাভের সম্ভাবনা অন্যান্যদের চেয়ে দ্বিগুন।
ছায়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী ব্যাম্বোস চ্যারালাম্বাস বলেন, শুধু এসাইলাম সিস্টেম যে ভাঙ্গাচোরা তা নয়, বরং এটা অর্থেরও অপচয়। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন যে, অযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহন ঐসব ব্যক্তির ক্ষেত্রে কেলেংকারীপূর্ন পরিনতি নিয়ে আসে, যারা ভুলভাবে এসাইলাম অস্বীকার করে। তিনি আরো বলেন, অধিকতর ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহন নিশ্চিত করতে রক্ষনশীল দলের জরুরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সরকারী পরিসংখ্যান ও ফ্রিডম-অব-ইনফরমেশন ডাটা নিয়ে গবেষনায় দেখা যায় যে, ২০১৩ সাল ও ২০১৭ সালের মধ্যে ৫ বছরের জন্য সফল এসাইলামের মোট প্রশাসনিক ব্যয় বার্ষিক ৪.৩ মিলিয়ন পাউন্ড। এ সময়ের প্রত্যেক বছরে প্রাথমিক এসাইলাম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হোম অফিসের সাড়ে ১১ হাজার গড় আপীলের এক তৃতীয়াংশ সফল হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ব্যর্থ আপীল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যয়কৃত অর্থ আইসবার্জের চুড়া। আসলে আদালত সিস্টেম ও আইনী সহায়তার মাধ্যমে আরো বহু মিলিয়ন অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আপীল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে এসাইলাম প্রার্থীদের বাড়িভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়টি তো আছেই।
গবেষনায় আরো দেখা গেছে, আফগানিস্তানের মতো অত্যন্ত স্বল্প শান্তির দেশ থেকে আগত এসাইলাম প্রার্থীদের সফল আপীল লাভের সম্ভাবনা ১.৭ বার বেশী, মালয়েশিয়ার মতো উচ্চ শান্তিপূর্ণ দেশ থেকে আসা প্রার্থীদের চেয়ে।