লন্ডনে এক বেডরুমের বাড়ির ভাড়া উর্দ্ধমুখী

ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে গত এক বছরে এক বেড়রুম ও দুই বেডরুমের বাড়ি ভাড়ার তফাৎ ১৫ পাউন্ডে অর্থ্যাৎ ২ শতাংশে নেমে এসেছে। গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য পুনরায় খুলে যাওয়ার পর এক বেডরুম বিশিষ্ট বাড়ির ভাড়া দুই বেডরুমের বাড়ির তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি ঘটেছে।
দেখা যাচ্ছে, তরুন ভাড়াটেরা ব্যাপক হারে রাজধানীতে ফিরে আসায় এক বেডরুমের বাড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে। হ্যাম্পটনস্- এর গবেষনা প্রধান আনিশা বেভারিজের গবেষনায় এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রাজধানীর ইষ্ট মিডল্যান্ডস- এ এই বৃদ্ধি ঘটেছে সবচেয়ে বেশী। এখানে এই দুই ধরনের বাড়ি ভাড়ার ব্যবধান ৬৩ পাউন্ড অর্থ্যাৎ ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ওয়েলসে ভাড়ার এই তফাৎ মাসিক ৫৩ পাউন্ড অর্থ্যাৎ ৯ শতাংশ এবং সাউথ ইস্টে ৪৭ পাউন্ড অর্থ্যাৎ ২ শতাংশ।
মহামারিকালীন সময়ে অধিকতর প্রশস্ত বাড়ির চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে বড়ো বাড়ির ভাড়া ছোট বাড়ির তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে একটি অতিরিক্ত বেড়রুম বিশিষ্ট বাড়ির ভাড়াও বৃদ্ধি পায়। এটা ঘটে, যখন বিপুল সংখ্যক পরিবার লন্ডন থেকে স্থানান্তরিত হয়। গ্রাম এলাকায় বড়ো বাড়ির ভাড়া বেড়ে যায়। অনেকে স্টাম্প ডিউটি মওকুফকালীন সময়ে লন্ডনের বাড়ি বিক্রি করে দেন এবং বর্তমানে প্রত্যন্ত শহর ও উপশহরসমূহে ভাড়া বাড়িঘরে বসবাস করছেন, অপেক্ষা করছেন মার্কেটে তাদের কাঙ্খিত বাড়ি পাবার। এ অবস্থায় ঐসব স্থানে ৩ ও ৪ বেডরুমের বাড়ির চাহিদা এতো বৃদ্ধি পায় যে, কিছু বাড়ির ভাড়া এক বছর আগের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।
হ্যাম্পটনস্- এর রিপোর্ট অনুসারে গত ২১ মাসব্যাপী ইনার লন্ডনে বাড়ি ভাড়া ২১ শতাংশ হ্রাস পায়। করোনা মহামারির তীব্র সংক্রমনকালে বিদেশী শিক্ষার্থীরা রাজধানী ত্যাগ করে বাড়িঘরে ফিরে যায়। তরুন শ্রমিকরাও একইভাবে ফিরে যায় তাদের পারিবারিক বাড়িঘরে। ফলে মার্কেটে এক বেডরুমের বাড়িঘরের প্রচুর সরবরাহ ঘটে। তবে অক্টোবর মাসে রাজধানী কেন্দ্রে ভাড়ার পতন ঘটে মাত্র ১ শতাংশ (১ পাউন্ড)। এটা মহামারি শুরুর পর থেকে সর্বনিম্ন।
বেভারিজের মতে, এক ও দুই নম্বর জোনে শীগগির ভাড়া বৃদ্ধি পাবে, যখন কর্মচারীরা পুনরায় তাদের কাজে ফিরবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button