তেলের দাম একদিনে ব্যারেলপ্রতি কমেছে প্রায় ১০ ডলার
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম একদিনেই কমে গেছে শতকরা ১০ ভাগের বেশি। ব্যারেলপ্রতি এই দরপতন প্রায় ১০ ডলার। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে বিশ্বের দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গত বছর এপ্রিলে করোনা ভাইরাসের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে তেলের এটাই একদিনে সর্বোচ্চ দরপতন। নতুন ভ্যারিয়েন্টকে ‘সবচেয়ে উদ্বেগের’ উল্লেখ করা হয়েছে।
এর ফলে শুক্রবার ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রমণ বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে। ফলে শুক্রবার বিকেলে প্রতি ব্যারেল অশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৮.৭৭ ডলার কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৭৩.৪৫ ডলার। এই দরপতন শতকরা কমপক্ষে ১০.৭ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম কমে যায় ৯.১২ ডলারের বেশি।
অর্থাৎ সেখানে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম শতকরা ১১.৬ ভাগ কমে বিক্রি হয় ৬৯.২৭ ডলারে। ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শাটডাউনের পর সবচেয়ে দ্রুতগতিতে তেলের দাম পতনের মধ্যে এটি অন্যতম দরপতন। ওই সময়ের পর এটাই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম তেলের দরপতন।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রন নামকরণ করেছে। বলা হয়েছে, ওমিক্রন তার স্পাইক প্রোটিনে বহুবিধ রূপান্তর ঘটিয়েছে। এই সংখ্যা কমপক্ষে ৫০। এর ফলে বিদ্যমান টিকার প্রভাবকে কাটিয়ে ওমিক্রন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আক্রমণ করতে পারে বলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ খবরের পরই বৃহস্পতিবার রাতে বৃটিশ সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার ৬টি দেশকে ইংল্যান্ডের ভ্রমণ বিষয়ক লাল তালিকাভুক্ত করেছে। ফলে ওইসব দেশ সফরে থাকা বৃটিশ ভ্রমণকারীরা রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৪টা থেকে দেশে ফিরলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ওদিকে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ওই এলাকা থেকে আকাশপথে ভ্রমণ স্থগিত করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
এসব কারণে আকস্মিকভাবে তেলের দরপতন হয়। এর ফলে বৃটেনের অনেক তেল ও গ্যাস কোম্পানি বড় লোকসান গোনে। শুক্রবার সকালের মাঝামাঝি বৃটেনের তেল বিষয়ক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান রয়েল ডাচ শেল-এর মূল্য পড়ে যায় শতকরা ৫.৫ ভাগ। অন্যদিকে বিপি বা বৃটিশ পেট্রোলিয়ামে দরপতন হয়েছে শতকরা ৬.৭ ভাগ।