বিশ্বে হালাল অর্থনীতি ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে
বিশ্বে হালাল অর্থনীতি বর্তমানে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৭ সালে ছিলো ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেই সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ৭ম বিশ্ব হালাল সম্মেলন ও ওআইসি’র ৮ম হালাল শীর্ষ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ওকতেই আরো বলেন যে, এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের ২০ টিরও বেশী দেশ এবং ৪ শ’টিরও বেশী কোম্পানীর খাদ্য, প্রসাধনী, ওষুধ, রসায়ন, টেক্সটাইল, পর্যটন ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় ৬০ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন। কভিড-১৯ সত্বেও এতে হালাল পণ্য ও সেবার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পায়।
তিনি বলেন যে, প্রাথমিক কারন হচ্ছে, ঐসব পণ্য বিশেষভাবে হালাল খাদ্য ইসলামের আবশ্যকীয়তার জন্য পছন্দনীয়। তবে অমুসলিমরাও এগুলোর প্রতি আগ্রহী, কারন হালাল পণ্য ও সেবা স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন। বর্তমানে ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানী এবং নিউজিল্যান্ডসহ অমুসলিম দেশগুলো হালাল পণ্যের সর্ববৃহৎ উৎপাদনকারী।
ওকতেই বলেন, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মতো দূরপ্রাচ্যের দেশে প্রথমে এই শিল্পের সূচনা হয় খাদ্যে নিরাপদ ও হালাল গুনাবলী নিশ্চিত করার সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে। তুরস্কের উদ্যোগের মাধ্যমে এটা এক ভিন্ন গতি লাভ করে।
তিনি বলেন, তুরস্কের নেতৃত্বে ইস্তান্বুলে ইসলামিক কাউন্ট্রিজ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড মেট্রোলজি ইনস্টিটিউট (এসএমআইআইসি) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তা অব্যাহতভাবে সক্রিয় রয়েছে। আমরা বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে ৩ বছর আগে হালাল এক্রেডিটেশন এজেন্সী (এইচএকে) প্রতিষ্ঠা করি। এই এজেন্সী বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে গৃহীত আবেদনপত্র মূল্যায়ন করেছে এবং এক্রেডিটেশন গ্যারান্টির অধীনে ৬৪০ টি সার্টিফিকেট গ্রহন করেছে। এইচএকে এবং এসএমআইআইসি এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে এইচএকে একটি ট্রেনিং বেইজে পরিনত হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী বৈধতার প্রশিক্ষন প্রদান করছে। তিনি বলেন, এইচএকে আয়োজিত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমরা ২০ টিরও বেশী দেশ থেকে প্রায় ৩শ’র অধিক ইন্ডাষ্ট্রি পেশাজীবিকে দক্ষতা প্রদান করেছি।
ওকতেই বলেন, নির্ভরযোগ্য ও বৈশ্বিক হালাল সনদকৃত ব্যবসায়িক পরিবেশ আমাদের সকলের, সকল ইসলামী দেশ ও আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের জন্য ফায়দা, স্বাস্থ্য ও বিশ্বস্ততা বয়ে আনবে।