টিএসবি ব্যাংক আরো ৭০ টি ব্রাঞ্চ বন্ধ করে দিচ্ছে

টিএসবি ব্যাংক তার নেটওয়ার্কের এক তৃতীয়াংশ অর্থ্যাৎ আরো ৭০ টি ব্রাঞ্চ বন্ধ করতে যাচ্ছে। প্রচারনাকারীদের মতে, এটা যুক্তরাজ্যের হাই স্ট্রিটে আরেকটি বড়ো ধরনের আঘাত। ১৪ মাস আগে টিএসবি’র শাখা ছিলো ৪৭৫ টি। কিন্তু ২০২০ সালে অনেকগুলো শাখা বন্ধের পর ২০২২ সালের জুন নাগাদ এই সংখ্যা ২২০ এ নেমে আসবে।
টিএসবি সেই সব ব্যাংকের অন্তর্ভূক্ত সর্বশেষ ধারার ব্যাংক যেগুলো তাদের নেটওয়ার্ক কমিয়ে এনেছে। টিএসবি’র বক্তব্য হচ্ছে, ব্রাঞ্চের ব্যবহার কমে যাওয়ায় এবং গ্রাহকদের সংখ্যা হ্রাস পাবার দরুন ব্রাঞ্চগুলো বন্ধ করতে হচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং বৃদ্ধির কারনে গ্রাহকদের সংখ্যা কমছে, মহামারি এই প্রবনতাকে ত্বরান্বিত করেছে।
আগামী বছর দেশব্যাপী টিসিবি’র ব্রাঞ্চ বা শাখা বন্ধ হবে। স্কটিশ হাইল্যান্ডস- এর উত্তর উপকূলীয় থুরসো থেকে ডেভনের ইগজেটার পর্যন্ত এই বন্ধ কর্মকান্ড চলবে। টিসিব বলেছে, তারা যুক্তব্যাপী ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলো এবং এখন কর্তনের অর্থ্যাৎ শাখা হ্রাস সত্বেও এটা যুক্তরাজ্যে সপ্তম বৃহৎ নেটওয়ার্ক হিসেবে থেকে যাবে। টিসিবি আরো বলেছে, যেসব শাখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো টিএসবি’র জাতীয় গড় হিসাবের এক তৃতীয়াংশের চেয়ে কম লেনদেন করেছে এবং প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত আউটলেটের এক মাইলের মধ্যে একটি পোস্ট অফিস কিংবা বিনামূল্যে ব্যবহার্য এটিএম বুথ থাকবে।
মহামারির সময় ব্যাংকের একটি সিরিজের বন্ধ ঘোষণা হয়, যখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিংয়ের পক্ষে প্রচলিত কাউন্টার সেবা প্রত্যাখ্যানের ওপর জোর দিচ্ছিলো। এ বছরের অক্টোবরে লয়েড ব্যাংকিং গ্রুপ বলে যে, তারা আরো ৪৮ টি শাখা বন্ধ করে দেবে। সেপ্টেম্বরে ভার্জিন মানি ঘোষণা করে যে, তারা ৩১ টি আউটলেট চিরতরে বন্ধ করে দিচ্ছে। মার্চে স্যানটেন্ডার প্রকাশ করে যে, তারা ১১১ টি শাখা বন্ধ করে দিচ্ছে।
টিএসবি বলেছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ব্রাঞ্চ ব্যবহার তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেতে দেখেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে প্রতিটি আউটলেটে গড়পড়তা লেনদেন হয়েছে এবং ব্রাঞ্চে লেনদেন কভিড পূর্ব অবস্থায় ফিরে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। ১০ টির মধ্যে ৯ টির লেনদেনই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button