এইচএসবিসি সহ বৃহত্তম ব্যাংকগুলোকে ২৯৩ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্ধারকেরা এইচএসবিসি, বার্কলেজ, ক্রেডিট সুইসে ও ন্যাটওয়েস্ট-কে ৩৪৪ মিলিয়ন ইউরো অর্থ্যাৎ প্রায় ২৯৩ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করেছেন। একটি বৈদেশিক বিনিময়ে স্পট ট্রেডিং কার্টেল বা সিন্ডিকেটিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে তাদের এমন দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এক উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শেষে এই গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
সর্বশেষে তদন্তে জি-১০ মুদ্রাসমূহের স্পট বানিজ্যের বৈদেশিক বিনিময়ের ওপর আলোকপাত করা হয়, যা বিশ্বের সবচেয়ে তারল্যপূর্ন ও বাণিজ্যকৃত মুদ্রা। যাতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে মার্কিন ডলার, পাউন্ড ও ইউরো।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, ব্যবসায়ীরা স্পর্শকাতর তথ্য ও বানিজ্য পরিকল্পনা বিনিময় করে এবং মাঝে মাঝে তারা অনলাইন চ্যাটরুমের মাধ্যমে কৌশল সমন্বিত করে।
সবচেয়ে বেশী জরিমানা করা হয়েছে এইচএসবিসি-কে, ১৭৪.৩ মিলিয়ন ইউরো বা ১৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড। এর পরের স্থানে আছে ক্রেডিট সুইসে, তাকে করা হয়েছে ৮৩.৩ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া বার্কলেজ’কে ৫৪.৩ মিলিয়ন বা ৪৬ মিলিয়ন পাউন্ড এবং আরবিএস-কে ৩২.৫ মিলিয়ন ইউরো বা ২৮ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
বার্কলেজ এবং এইচএসবিসি পুনঃব্রান্ডিংয়ের পর থেকে ন্যাটওয়েস্ট হিসেবে পরিচিত। অন্যায় স্বীকার করায় তাদের জরিমানা হ্রাস করা হয়।
ইউবিএস ৯৪ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা থেকে রেহাই পেয়েছে ইউরোপীয় কমিশনকে কার্টেল বা কাসাজির বিষয়ে সতর্ক করে দেয়ার জন্য। সিন্ডিকেটটি ‘স্টালিং ল্যাডস’ নামে পরিচিত চ্যাট রুমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। তদন্তকর্মে সহায়তা করায় বার্কলেজ, আরবিএস এবং এইচএসবিসি তাদের জরিমানা হ্রাসের সুবিধা পেয়েছে। অপরদিকে ক্রেডিট সুইসে সহায়তা না করায় কোন হ্রাস সুবিধা পায়নি।
২০১৩ সালের দিকে প্রথম অভিযোগ উত্থাপিত হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের কিছু বৃহত্তম ব্যাংককে সর্বমোট প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। ব্যবসায়ী ব্যাংকগুলো বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক মার্কেটে কারসাজি করার দায়ে এই জরিমানা করা হয়। ডজন খানেক ব্যবসায়ীকে স্থগিত কিংবা বরখাস্ত করা হয়।