ক্রমশ জটিল হচ্ছে ব্রিটেনের ওমিক্রন পরিস্থিতি
ক্রমশ জটিল হচ্ছে ব্রিটেনের ওমিক্রন পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত সেখানে ২৬১টি ওমিক্রন কেস ধর পড়েছে। স্কটল্যান্ডে পাওয়া গিয়েছে ৭১টি, ওয়েলেসে সম্প্রতি চারটি কেস ধরা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট ওমিক্রন মামলার সংখ্যা ৩৩৬। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ হাউস অফ কমন্সে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইংল্যান্ডের একাধিক অঞ্চলে এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রয়েছে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কোনও যোগসূত্র নেই। সুতরাং এটা মনে করা যেতেই পারে যে ব্রিটেনে কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে।’ মন্ত্রী সংসদে এও জানান যে আন্তর্জাতিক উড়ান ও সে দেশে ভ্রমণের রেড লিস্টে নাইজেরিয়াকেও যোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কবে সুযোগ আসবে সেই ভরসায় বসে থাকছে না। আমাদের এখনের স্ট্র্যাটেজি হল সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা।’
টিকাকরণ যদিও চলছে ব্রিটেনে কিন্তু ওমিক্রনের দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, এখনই বলা সম্ভব নয় কোন পথে যেতে চলেছি। এই প্রজাতি কতটা মারাত্মক হতে চলেছে, কতটা প্রভাব পড়বে সেই চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়। তাই আমরা আদৌ পুনরুদ্ধার করতে পারছি কি না তা সময় বলবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে শনিবার যেখানে ১৬০ ছিল রোববার তা লাফিয়ে ২৪৬ হয়ে গেল। অর্থাৎ একদিনে ওমিক্রনে আক্রান্ত বাড়ল ৫০ শতাংশ। এদিকে, ব্রিটেনে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৮ শতাংশের এক ডোজ টিকা নেয়া হয়েছে। দু’ ডোজ নিয়েছেন ৮১ শতাংশ ব্রিটেনবাসী। বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ। এদিকে, আরও ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ল আমেরিকায়। এক এক করে বিভিন্ন প্রদেশে ধরা পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ।নিউ ইয়র্কে এ পর্যন্ত মোট ৮টি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সাতটিই নিউ ইয়র্ক সিটিতে। নেব্রাস্কা, মিনেসোটা, ক্যালিফর্নিয়া, হাউয়াই, উটাহ, কলোরাডোয় ছড়িয়ে পড়েছে স্ট্রেনটি।