লন্ডন টিউব স্টেশনে কর্তনের মুখে ৫শ’ চাকুরী
খরচ বাঁচাতে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) বিপুল সংখ্যক টিউব স্টেশন স্টাফের চাকুরী কর্তনের ঘোষনা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার টিএফএল এ ঘোষনা প্রদান করে। গোটা নেটওয়ার্ক ব্যাপী ৫শ থেকে ৬শ’ পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল লন্ডনের বড়ো বড়ো স্টেশনসমূহে চাকুরীতে কর্তন হবে বেশী। আগামী বছরের শুরুতে আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাপী এধরণের পদক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠেছে, গত মঙ্গলবার ভোরে টিএফএল প্রধানগণ আরএমটি এবং টিএসএসএ ইউনিয়নসমূহ থেকে অফিশিয়ালদের ব্রিফিং করছিলেন।
ইউনিয়নগুলো নাইট টিউবে স্টাফ প্রদানের কাজে ব্যবহৃত রোটা বা তালিকাসমূহ নিয়ে সপ্তাহান্তের ধারাবাহিক ওয়াকআউটের মধ্যে আছে এবং তারা স্টাফ পেনশনে পরিবর্তন নিয়ে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে।
আরএমটি বলেছে যে, তারা আগামী সোমাবার থেকে ধর্মঘটের মাধ্যমে ১০হাজারেরও বেশী সদস্যকে ব্যালট অর্থাৎ গোপন ভোটের ব্যবস্থা করবে। ইউনিয়ন টিএফএলকে চাকুরী ধ্বংসের একটি কর্মসূচীতে ‘ওপেনিং শটের’ জন্য অভিযুক্ত করেছে।
আরএমটি’র সাধারণ সম্পাদক মিক লিঞ্চ বলেন, সরকার টিএফএল’তে পরিকল্পিত ভাবে একটি সংকট সৃষ্টি করেছে একটি চাকুরী কর্তনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য, যা চাকুরী, সেবা ও নিরাপত্তাকে বিপর্যস্ত করবে এবং আমাদের সদস্যদের কাজের শর্ত ও পেনশনকে হুমকির মুখে ফেলবে।
তিনি আরো বলেন সোমবার আমরা ভোট শুরু করবো এবং আমরা একটি ব্যাপক ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালাবো। রাজনীতিবিদদের উচিত এ বিষয়ে সচেতন হওয়া, যাতে পরিবহন স্টাফদের মূল্য দিতে না হয় পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট সংকটের জন্য। আমরা এ ধরণের হুমকির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য ইউনিয়নের সহকর্মীদের সাথে সমন্বয় সাধানের মাধ্যমে একটি প্রতিরোধমূলক প্রচারণা চালাবো। স্টাইক ব্যালট সমাপ্ত হবে ১০ জানুয়ারী, এর পর পরই ফলাফল জানা যাবে।
টিএলএফ বলেছে, বর্তমানে খালি স্টেশনের স্টাফের পদসমূহ পূরণ করা হবে না এবং ২৫০ থেকে ৩৫০ জন স্টাফের পুন:স্থাপন করা হবেনা, যখন তারা অবসর গ্রহণ করবেন কিংবা অন্য চাকুরীর জন্য পদ ছেড়ে দেবেন।
এতে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের স্টেশন স্টাফদের মোট সংখ্যা হতে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার স্টাফ হ্রাস পাবে। তবে ছাঁটাইয়ের কোন পরিকল্পনা নেই।
টিএফএল-এর জনৈক মুখপাত্র বলেন, সকল স্টেশনে স্টাফরা অব্যাহতভাবে কর্মে নিয়োজিত থাকবেন, যখন ট্রেন চলাচল করবে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না, এই মর্মে তিনি দাবি করেন।