যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব হরণের বিরুদ্ধে আপীল রেকর্ড সংখ্যায় উন্নীত
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত লোকজন কর্তৃক যুক্তরাজ্য সরকারের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীলের সংখ্যা ২০১৮ সালে অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে। ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট- এর অধীনে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যেসব লোক আপীল করেন ২০১৮ সালে তাদের সংখ্যা ২০১১ সালের ৫ জন থেকে ৮৮ জনে উন্নীত হয়। সরকার নাগরিকত্ব বাতিলের আইনকে সহজ করার প্রচেষ্টার দরুন এমনটি ঘটে।
২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সরকার ব্রিটিশ কর্তৃক নাগরিকত্ব হরনের ফলে এই সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। হোম অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১৯৯ ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। শুধু ২০১৭ সালে ১০৪ জনের নাগরিকত্ব হরনের ঘটনার ঘটে।
লক্ষণীয় যে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে কারোর নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে পারেন, যদি তা জনগনের স্বার্থের অনুকূলে করা হয় এবং তাকে রাষ্ট্রহীন করা না হয়। তিনি এমন ব্যক্তিরও নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারেন যে প্রতারনা কিংবা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে জন্মলাভকারী নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাগরিত্ব বাতিলে সক্ষম, যদি তিনি মনে করেন যে, ঐ ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ন স্বার্থের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে কাজ করেছেন এবং এমন বিশ্বাস করার কারন আছে যে, ঐ ব্যক্তি অপর কোন দেশের একজন নাগরিক হতে পারেন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য সরকার লোকজনের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার পদ্ধতিকে আরো সহজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। চলতি সপ্তাহে এমপি’রা ন্যাশনালিটি এন্ড বর্ডার বিল নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে লোকজনকে না জানিয়েই তাদের নাগরিকত্ব হরনের বিধান রাখা হয়েছে।