হাসপাতালে জরুরী বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির নির্দেশ
যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোকে কভিড রোগীদের জন্য জরুরী শয্যা বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওমিক্রন ধরনের বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদা মেটাতে সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। দেশের কিছু এলাকায় এখন মাত্র এক শতাংশ শয্যা নিয়ে চলছে। অথচ ওমিক্রন নামক নতুন ধরনের কভিড ভাইরাস জোরদার আক্রমন শুরু করেছে। এনএইচএস নেতৃবৃন্দকে মধ্য জানুয়ারি কভিড রোগী ভর্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে বৃদ্ধির বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতকে নতুন বছরের শুরুতেই তার সর্বোচ্চ ‘ব্ল্যাক এলার্ট’ বা কালো সতর্কতা বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে চীফ মেডিকেল অফিসাররা কভিড সতর্কতার পর্যায় ৩ থেকে ৪- এ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে। সতর্কতার ক্ষেত্রে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ । এতে এই মর্মে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, ওমিক্রন ধরন জনগন ও স্বাস্থ্যসেবা সমূহের জন্য দ্রুত ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।
ইতোমধ্যে হাসপাতালগুলোর পরিচালকেরা বলেছেন, তারা নৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্বে নিপতিত এবং তারা এএন্ডই অর্থ্যাৎ দুর্ঘটনা ও জরুরী বিভাগের রোগীদের এবং ঐসব লোকজনকে অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়টি বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন, যারা তাদের পরিকল্পিত অপারেশনের জন্য অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামর্শক দল ‘সেইজ’ এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারন করেন যে, বছরের শেষে নতুন ধরনের কভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দৈনিক ১ হাজারে পৌঁছতে পারে।
গত শনিবার সরকারের উপদেষ্টাগন এই বলে সতর্ক করেন যে, পরবর্তী কভিড নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই ওমিক্রন গত শীতের চেয়ে দৃশ্যমান ঢেউয়ের চেয়ে বড়ো একটি ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে। এতে শুধু ইংল্যান্ডে এপ্রিলের শেষে ৭৫ হাজার পর্যন্ত মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
ফাঁস হয়ে যাওয়া এনএইচএস-এর তথ্য থেকে জানা গেছে, মিডল্যান্ডস্- এ গত শুক্রবার মাত্র এক শতাংশ শয্যা লভ্য ছিলো, যখন ইনটেনসিভ কেয়ারের ওপর চাপ মারাত্মক আকার ধারন করেছে।