যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হবে চ্যান্সেলরকেই
অর্থনৈতিক ভাষ্যকার ও বিনিয়োগকারীদের চোখ এখন মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার বৃদ্ধির অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের ওপর, যাতে গত ৩ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ০.২৫ শতাংশে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। ওমিক্রনের প্রতিবন্ধকতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক। তবে শিরোনামগুলো ও ব্যাংকের বিষয়টির পেছনে, যুক্তরাজ্য যে সবচেয়ে বড়ো ব্যাষ্টিক অর্থনৈতিক প্রশ্নের সম্মুখীন, তা হচ্ছে, এই ক্রিসমাসে ও এর পরবর্তী সময়ে পরিবারগুলো আর্থিক খোঁচা অনুভব করবে কি-না, তা নির্ভর করছে ব্রিটিশ চ্যান্সেলরের ওপর। ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতি এখন গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশী, যা ৫.১ শতাংশ। যদিও এটা সত্তরের দশকের মতো নয়, তবুও তা মজুরী মূল্যবৃদ্ধির শংকা সৃষ্টি করেছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড-এর গভর্নর বলেছেন, এ বিষয়ে ঝুঁকি অল্প। বরং মূল্যস্ফীতির মূল্য কারণগুলো এখন বিদেশ থেকে আমদানীকৃত পণ্য যেমন- জ্বালানী, গাড়ি- কার প্রস্তুতকারকেরা সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতি নিরসনের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া অপর আমদানী সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস ও ফার্নিচার। বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, গত সপ্তাহে সুদের হার বিষয়ে ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতি যে হ্রাস করবে তা নিশ্চিত নয়। এসব মূল্য উচ্চ থেকে যাবে, যেহেতু এগুলো বৈশ্বিক বিষয়ের দ্বারা নির্ধারিত। সুদের হারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে যা প্রত্যাশিত তা হচ্ছে, স্বাস্থ্য ও এক বছরের মতো মেয়াদে অর্থনীতির আকার, যখন নীতির প্রভাবসমূহ অনুভূত হবে। এখানে সমস্যা হচ্ছে যে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ক্ষমতা সম্ভবত একটি সিলিন্ডার থেকে সৃষ্টি বা উদগত হচ্ছে, আসলেই আমরা ২০২২ সালের জন্য তা মহামারি পূর্বকালীন সময়ের চেয়ে কম দেখতে পাবার প্রত্যাশা করতে পারি।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত। অনেক নিয়োগকর্তা চাকুরীর শূন্যপদ পূরনে হিমশিম খাচ্ছেন। মহামারির শুরু থেকে জনবল কার্যকরভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ে। অর্ধেকের বেশী শূন্যতা বিরাজ করছে তুলনামূলক বেশী বয়সী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে। অবসরগ্রহন ও অসুস্থতা এটা বৃদ্ধি করেছে। যখন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি মহামারির পূর্বকালীন সময়ের চেয়ে কম উৎপাদনে সক্ষম, তখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের উদ্বেগ হচ্ছে যে, সুদের স্বল্পহার প্রদাহ সৃষ্টিকারী চাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।