লন্ডন মেয়রের ৪শ’ পাউন্ড কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধির ঘোষণা
লন্ডন মেয়র সাদিক খান মেয়র হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পরিমান কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। গত বুধবার তিনি আগামী এপ্রিল থেকে গড়ে ৩১.৯৩ পাউন্ড ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন। এ হিসাবে লন্ডনের গৃহস্থালীকে গড়ে প্রায় ৪০০ পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে সিটি হলকে।
এই করবৃদ্ধির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে একটি অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড, যা লন্ডন পরিবহনে সংস্কারে সহায়তা হিসেবে প্রদানের কথা ঘোষণা করেন মেয়র। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য তার প্রস্তাব আগের বেঞ্চমার্ক ডি বিলস ৩১.৫৯ পাউন্ড রেকর্ডবৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই বেঞ্চ মার্ক বিল তিনি আরোপ করেন। তবে প্রস্তাবিত বৃদ্ধি ৮.৮ শতাংশ। এটা চলতি বছরের সম্মত ৯.৫ শতাংশের চেয়ে কম।
পরিবহনের জন্য ২০ পাউন্ড, পুলিশিং ও ক্রাইমের জন্য ১০ পাউন্ড এবং লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের জন্য ১.৯৩ পাউন্ড নিয়ে এই ৩১.৯৩ পাউন্ডের বর্ধিত বিল গঠিত। এর মানে হচ্ছে, লন্ডনের বাসিন্দারা কাউন্সিল ট্যাক্সে গ্রেটার লন্ডন অথরিটিকে অতিরিক্ত ১০৮ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করবে। লন্ডনের অনেক গৃহস্থালীকে বার্ষিক প্রায় ২ হাজার পাউন্ড প্রদান করতে হবে। বারাসমূহ তাদের বিল প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনাব খান বলেন, লন্ডনের জন্য সরকারী সহায়তার ঘাটতির কারনে তিনি কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মহামারি লন্ডনের আর্থিক অবস্থার ওপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টি করে চলেছে এবং সরকার এখনো পাবলিক সার্ভিসসমূহ, বিশেষভাবে মেট্রোপলিটন পুলিশ, ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন এবং লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডকে যথেষ্টভাবে তহবিল প্রদানের অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
মেয়র বলেন, মাসিক ২.৬৬ পাউন্ড কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি এমন কিছু নয়, যা আমি করতে চাই। তবে সরকার আমাদেরকে এমন অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে যে লন্ডন পরিবহনকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের পুলিশ কর্মকর্তাগন ও অগ্নিনির্বাপনকারীদের তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
জিএলএ কনজারভেটিভস্- এর নেতা সুসান হল বলেন, লন্ডনের বাসিন্দারা সাদিক খানের সীমাহীন কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি মেনে নিতে পারে না। অনেক বাসিন্দা ইতোমধ্যে লন্ডনে বসবাসের ব্যয়কে সংকুচিত করার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। মেয়র কেবলমাত্র পরিস্থিতিকে শোচনীয় করে তুলছেন।
সম্প্রতি লিবারেল ডেমোক্রেটিক গ্রুপের নেতা ক্যারোলিন পিডজিয়ন লন্ডন অ্যাসেমব্লিতে বলেন, বেদনাদায়ক হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই করবৃদ্ধি অপরিহারযোগ্য।