অর্থ ছাড়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
আফগানিস্তানে দ্বিগুণ সহায়তা যুক্তরাজ্যের
যুক্তরাজ্য আফগানিস্তানের জন্য তার সহায়তা দ্বিগুণ করে ২৮ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি ৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা) করেছে। তবে তিনি বলেছেন যে, তহবিল দেশে পাঠানোর চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। পাকিস্তানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ক্রিশ্চিয়ান টার্নার বিবিসি রেডিও-৪ এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ দুর্বল মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) দেশে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।
ইউকে সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে টার্ন বলেন যে, ২৮ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি৭ বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন যে, আফগানিস্তানকে তার মানবিক প্রয়োজন মেটাতে আরো সাড়ে ৭ কোটি পাউন্ড (প্রায় বাংলাদেশি ৮৫৯ কোটি টাকা) দেওয়া হবে। টার্নার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, তহবিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল না, কারণ ১২০ কোটি ডলার ‘জেনেভাতে একটি বড় ইভেন্টে’ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, আফগানিস্তানের মধ্যে খাদ্য এবং জ্বালানির কোন অভাব নেই এবং পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এসব জিনিস সরবরাহের ক্ষমতা রাখে। ‘সমস্যা হল তারল্যের ঘাটতি রয়েছে। অর্থনীতিতে কোন নগদ নেই’ তিনি বলেন।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) রোববার একটি মানবিক তহবিল গঠন করেছে, যা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে পরিচালিত হবে। তহবিল আফগানিস্তানে মানবিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট এড়াতে সাহায্য করবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সতর্ক করেন যে, প্রতিবেশী দেশটি সম্ভাব্যভাবে ‘মানবসৃষ্ট সবচেয়ে বড় সঙ্কট’ যদি বিশ্ব কাজ না করত।
তহবিলের ঘোষণাটি পাকিস্তানে আয়োজিত ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের ১৭তম বিশেষ অধিবেশনের পর ৫৭-সদস্যের ইসলামি ব্লকের সম্মত হওয়া পদক্ষেপের অংশ ছিল।
এদিকে চরম আর্থিক ভোগান্তিতে পড়া আফগান নাগরিকদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তায় অর্থ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্থাপিত একটি প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পাস হয়েছে। বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে দ্বিতীয়বার উত্থাপিত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করলে চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও ভারত বিরোধিতা করে। পরে কিছুটা পরিবর্তন এনে সেটা পেশ করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়।