যুক্তরাজ্যে গাড়ি উৎপাদন ৩৭ বছরের সর্বনিম্নে
যুক্তরাজ্যের অটোমোবাইল খাতে মন্দা অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বরে দেশটিতে গাড়ি উৎপাদন টানা পঞ্চম মাসের মতো কমেছে। চিপ ঘাটতির কারণে গত মাসে গাড়ি উৎপাদন ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৭৫ হাজার ৭৫৬ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা ১৯৮৪ সালের পর সর্বনিম্ন।
সোসাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স (এসএমএমটি) এ পরিসংখ্যানকে ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি উৎপাদন পতনের কারণ হিসেবে সেমিকন্ডাক্টর ঘাটতিকে দায়ী করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ব্রেক্সিট কাস্টম নিয়ন্ত্রণও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্যে চিপ ঘাটতি দেখা দেয়। কভিডজনিত বিধিনিষেধের মধ্যে পুনরায় অর্থনীতিগুলো চালু হওয়ায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে এশিয়ার চিপ উৎপাদন কারখানাগুলো। এসএমএমটির প্রধান মাইক হাউস বলেন, এ ঘাটতি সম্ভবত আগামী বছরজুড়ে গাড়ি উৎপাদন খাতকে প্রভাবিত করবে। এজন্য তিনি সরকারকে সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, খাতটি গত ১ জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণ ইইউ কাস্টম চেক শুরুর জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে অপ্রস্তুত মালবাহী বা সিস্টেমের কারণে ব্যবসার ওপর আরো চাপ সৃষ্টি হতে পারে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নির্বিঘ্ন করতে অবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তবে মোট গাড়ি উৎপাদন কমে গেলেও নভেম্বরে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। গত মাসে উৎপাদন হওয়া সব গাড়ির মধ্যে বিদ্যুচ্চালিত, প্লাগ-ইন হাইব্রিড ও হাইব্রিড গাড়ির অনুপাত ছিল ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ। ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১০ হাজার ৩৫৯ ইউনিটে পৌঁছেছে। এটি মোট গাড়ির ১৪ দশমিক ৭ শতাংশের সমান। পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুচ্চালিত এ গাড়ির অংশীদারিত্ব গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস খাদ্য এবং কৃষিপণ্য আমদানিতে ব্রেক্সিট-পরবর্তী চেকিং বাস্তবায়ন ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছিল।