বার্ষিক লোকসানের পূর্বাভাস দ্বিগুণ করেছে রায়ানএয়ার
চলতি অর্থবছর লোকসানের পূর্বাভাস দ্বিগুণেরও বেশি করেছে রায়ানএয়ার। ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবে আবারো বেশকিছু দেশ কভিডজনিত বিধিনিষেধ আরোপ করায় পূর্বাভাস সংশোধন করেছে যাত্রী সংখ্যায় ইউরোপের বৃহত্তম এয়ারলাইনসটি। লোকসানের পূর্বাভাস বাড়ানোর পাশাপাশি স্বল্প ব্যয়ের উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি জানুয়ারির ট্রাফিক পূর্বাভাসও ৩৩ শতাংশ কমিয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থাটি ফ্রান্স, জার্মানি ও মরক্কোয় ভ্রমণ বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে। তবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের সময়সূচিতেও পূর্বাভাস কমিয়ে আনা হবে কিনা তা জানায়নি সংস্থাটি।
ইউরোপে এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক ইউরোকন্ট্রোল অনুসারে, স্বল্প ব্যয়ের আইরিশ এয়ারলাইনসটি যাত্রী সংখ্যার দিক থেকে ইউরোপের বৃহত্তম উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিগুণেরও বেশি ফ্লাইট বেড়েছে রায়ানএয়ারের। তবে জার্মানি ও ফ্রান্সে যাওয়া ব্রিটিশ পর্যটক এবং মরক্কোয় যাওয়া সব ইইউ যাত্রীর ওপর বিধিনিষেধ আরোপের ফলে সংস্থাটি যাত্রীর পূর্বাভাস কমিয়ে এনেছে। সংস্থাটি ডিসেম্বরের যাত্রীর পূর্বাভাস ১ কোটি বা ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ৯০ লাখ বা ৯৫ লাখে নামিয়ে এনেছে।
রায়ানএয়ার জানুয়ারিতে আরো গভীর কাটছাঁটের পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি এ সময়ের পূর্বাভাস ১ কোটি থেকে ৬০ লাখ বা ৭০ লাখে নামিয়ে এনেছে।
কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অন্যতম স্পষ্টবাদী সমালোচকদের একজন রায়ানএয়ারের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ও’ল্যারি। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, ওমিক্রন সংক্রমণের মুখে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া ছিল আতঙ্ক ছড়ানোর মতো। তার যুক্তি, উড়োজাহাজে উচ্চ মানের ফিল্টারগুলো যাত্রীদের তুলনামূলকভাবে নিরাপদ করে তোলে। তবে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেন, সংক্রমণের ক্ষেত্রে উড়োজাহাজ ভ্রমণ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।
মহামারী শুরু হওয়ার পর গত মাসে প্রথম প্রান্তিকভিত্তিক মুনাফার ঘোষণা দিয়েছিল রায়ানএয়ার। এখন আগামী মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরে ২৫ থেকে ৪৫ কোটি ইউরোর নিট লোকসানের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও এর আগের পূর্বাভাসে সংস্থাটি ১০ থেকে ২০ কোটি ইউরো লোকসানের আশঙ্কা করেছিল।