প্রতি ৪ জনে ১ জন এনএইচএস’র সক্ষমতায় আস্থাশীল নন
সাম্প্রতিক এক জরীপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন অধিবাসী মনে করেন না যে, এনএইচএস যথাযথভাবে তার যত্ন নিতে পারবে। আপনার প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে এনএইচএস-এর সক্ষমতার ওপর আপনি আস্থাশীল কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে এক চতুর্থাংশ উত্তরদাতা (২৬ শতাংশ) বলেন, তারা আস্থাশীল নন।
আর ১৫ শতাংশ মনে করেন, করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এনএইচএস তাল মেলাতে সক্ষম নয়। ৪১ শতাংশ মনে করেন যে, অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও এনএইচএস সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, অপারেশন ও জিপি নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান দীর্ঘসূত্রিতা, এনএইচএস-এর স্বাভাবিক সেবায় কভিডের প্রতিবন্ধকতা এবং দীর্ঘকাল যাবৎ বিদ্যমান স্টাফ স্বল্পতা যথাসময়ে এবং কার্যকর সেবা প্রদানে স্বাস্থ্য-সেবার সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এসব বিষয় এনএইচএস- এর ওপর ব্যাপক আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে।
হেলথ থিংক ট্যাংক ‘কিংস ফান্ড’- এর পলিসি ডিরেক্টর স্যালি ওয়ারেন বলেন, এনএইচএস- এ ইতোমধ্যে বিদ্যমান চাপের সাথে যুক্ত হয়েছে কভিড মহামারি এবং এনএইচএস এক্ষেত্রে কভিডকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হচ্ছে। ওয়ারেন আরো বলেন, অনেককে তাদের জিপি’র সাথে সাক্ষাতলাভের ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে কিংবা হাসপাতালের অপেক্ষমাণ তালিকায় আটকে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যব্যাপী প্রশ্নভিত্তিক এই জরীপ পরিচালনা করে ‘ইপসস মোরি’। ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই জরীপে অংশ নেন বৃটেনের ১ হাজার ৩২ জন অধিবাসী, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৭৫। এদের ৪১ শতাংশ মনে করেন, এনএইচএস নন-কভিড রোগীদের সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে না এবং এজন্য তারা এনএইচএস’কে দায়ী করেন। এজন্য ৪৮ শতাংশ দাবী করেন সরকারকে, ১৮ শতাংশ দায়ী করেন রোগীদের এবং ৮ শতাংশ সাধারন জনগনকে। জরীপে আরো দেখা যায় যে, লোকজন হাসপাতালের রুটিন সেবার জন্য ওয়েটিং লিস্টে আছেন কিংবা এদের মধ্যে অনেকের কোন আত্মীয় রয়েছেন, যারা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এনএইচএস-এর সক্ষমতার ওপর আস্থাশীল নন। লেবার পার্টি এজন্য দায়ী করেছে দীর্ঘদিনের সমাধানহীন স্টাফ সংকটকে।