ভবিষ্যত ঝুঁকিতে যুক্তরাজ্যের সাড়ে ৪ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসা
বিলম্বে অর্থ পরিশোধের ফলে সৃষ্ট সংকটে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত ঝুঁকির সম্মুখীন। সম্প্রতি ‘ফেডারেশন অব স্মল বিজনেসেজ’ পরিচালিত এক জরীপে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থ যাতে পরিশোধিত হয়, এমন পন্থার উন্নয়নে সরকারের জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জরীপকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অর্থ্যাৎ ৩০ শতাংশ বলেছে, গত ৩ মাস যাবৎ চালানসমূহের বিলম্বে পরিশোধের বিষয়টি বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। কমপক্ষে ৮ শতাংশ ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, সমস্যা এতো তীব্র আকার ধারন করেছে যে, এটা তাদের ব্যবসার ভায়াবিলিটি অর্থ্যাৎ সম্ভবপরতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
দীর্ঘকাল ব্যাপী বিদ্যমান বিলম্বে পরিশোধের সমস্যা, বিশেষভাবে বড়ো বড়ো এফটিএসই প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক বিলম্বে পরিশোধ ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতের পিছু ছাড়ছে না। এফএসবি বলেছে, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারনে ৪ লাখেরও বেশী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে এবং কেবল এ কারনে আরো একই সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত হুমকির মুখে।
এফএসবি’র জাতীয় সভাপতি মাইক চেরী বলেন, বিলম্বে পরিশোধ এমনকি মহামারির আগেও হাজারো ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছিলো। মহামারি এসে পরিস্থিতিকে আরো শোচনীয় করে তুলেছে। অতীতে সরকার সঠিকভাবেই এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে বৃহত্তর বোর্ড জবাবদিহিতাকে মূল বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু এর বাস্তবায়ন খুব ধীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চেরী আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্ষুদ্র ব্যবসা, যেগুলোতে ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশী শ্রমিক-কর্মী কাজ করছে, তাদেরকে ইইউ থেকে আমদানি সংক্রান্ত নতুন শুল্ক চেকিং এবং জ্বালানীর মূল্য সংকটসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এফএসবি বলেছে, প্রত্যেক বড়ো ব্যবসা ও সরকারী সংস্থার উচিত দ্রুত পরিশোধের আচরনবিধি মেনে চলা। তাদের মতে, যারা পরিবেশগত, সামাজিক ও শাসনের সর্বোত্তম অনুশীলনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের জন্য ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধের রীতিটি শর্ত হওয়া উচিত।