ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে টিকা না নেয়া চিকিৎসকের চ্যালেঞ্জ

জনৈক এনএইচএস চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহনের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। উক্ত কর্মী বলেন, ‘আমি টিকা নেইনি। আমি টিকা নিতে চাইনে’। গত শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দক্ষিন লন্ডনের কিংস হটপিটাল পরিদর্শনের পর এ ঘটনা সম্প্রচারিত হয়। এটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়। এর পক্ষে বিপক্ষের লোকজন প্রচুর মন্তব্য করেন। সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন যে, ইংল্যান্ডের সকল এনএইচএস স্টাফ, যাদের সাথে রোগীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে, তাদেরকে ৩ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তাদের কভিড টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করতে হবে কিংবা মার্চ শেষে তাদের চাকুরী হারানোর ঝুঁকি নিতে হবে।
গত শুক্রবার ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি নতুন নিয়মটি বিলম্বিত করার আহ্বান জানান, অন্যথায় হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীদের বিদায়ের ঝুঁকি গ্রহনের কথা বলেন। ঐদিন কিংসে পরিদর্শনে গেলে চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে, সকল এনএইচএস স্টাফকে টিকাদানের আবশ্যকীয়তা সংক্রান্ত সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে তারা কী ভাবছেন, তা জানতে চান।
কিছুক্ষন নীরব থাকার পর স্টিভ জেমস নাম জনৈক কনসালট্যান্ট এনেস্থেসিস্ট, যিনি গোটা মহামারিকালীন সময়ে কাজ করছেন, বলেন, আমি এ বিষয়ে আনন্দিত নই। জেমস্ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেন, কোন কোন পর্যায়ে আমার কভিড হয়েছিলো, আমার দেহে এন্ডিবডি তৈরি হয়েছে এবং আমি মহামারি শুরু থেকেই কভিড আইটিইউগুলোতে কাজ করছি। আমি কোন টিকা নেইনি, আমি এটা নিতে চাইনে।
৮ সপ্তাহ ধরে ডেল্টায় আক্রান্তদের সংক্রমন হ্রাস করে টিকা। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা কম হওয়ার সম্ভাবনা এবং যদি আমি টিকা না নিয়ে থাকি তবে কি আমি বরখাস্ত হবো? বিজ্ঞান যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।
জাভিদ এর জবাবে বলেন, এটা আপনার অভিমত। একদল নার্সের দিকে ফিরে তিনি জানতে চান, ‘এবং এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কী? তবে নার্সরা কোন জবাব দেননি। আবার জেমসের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা করি। তবে আরো অনেক ভিন্নমত রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত জাভিদ বলেন, যদি একটি বুস্টার ডোজের মাধ্যমে আপনারা সুরক্ষা দিতে চান তবে আপনাদেরকে প্রতি মাসে প্রত্যেককে টিকা পুশ করতে হতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button