লকডাউনের সময় পার্টি
নতুন চাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন চাপের মধ্যে পড়েছেন। ২০২০ সালের লকডাউনের সময় তার সরকারী বাসভবনে ১০০ জনেরও বেশী স্টাফ সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি গার্ডেন পার্টি আয়োজনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি নতুন যাচাইয়ের মুখে পড়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারী কর্মকর্তাগন গত ২ বছরে অনেকগুলো সভা-সমাবেশের আয়োজন করেন। এগুলোর মধ্যে শেষমেষ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। এসব মিটিং সমাবেশ করে সরকার তাদের নিজেদের মহামারি সংক্রান্ত নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত বছরের ২০ মে সংঘটিত কথিত এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জনসন উপস্থিত ছিলেন। খবরটি ব্রিটিশ টিভি আইটিভি’তে গত সোমবার প্রথম সম্প্রচারিত হয়। আইটিভি-তে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারী ই-মেইলের মাধ্যমে কর্মীদেরকে ডাউনিং স্ট্রিটে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রন জানান।
রেনল্ডের ফাঁস হওয়া বার্তায় বলা হয়, ‘এই চরম ব্যস্ততার পর আজ সন্ধ্যায় ১০ নম্বরে মায়াবী আবহাওয়া সৃষ্টি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পানীয় গ্রহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক সন্ধ্যা ৬ টায় আমাদের সাথে যোগ দেবেন এবং আপনার নিজের পানীয় সাথে নিয়ে আসবেন।’ লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিস গত সোমবার বলেছে, ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন লংঘনের ব্যাপক সংবাদ প্রকাশের পর তারা কেবিনেট অফিসের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখছেন। আইটিভি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী জনসনের স্ত্রী চেরিসহ প্রায় ৪০ ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য স্কুলগুলো বন্ধ ছিলো। পাব ও রেস্তোরাঁ সমূহও বন্ধ ছিলো। সামাজিক মেলামেশায় কড়া নিয়ন্ত্রন ছিলো। এ সময় বাইরে বিভিন্ন গৃহস্থালীর মাত্র ২ জন লোকের সাক্ষাতের অনুমতি ছিলো। তবে এক্ষেত্রে তাদেরকে ২ মিটার দূরত্ব মানতে হতো।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি অভিযোগ করে বলেছে, বাকী সকলের জন্য আরোপিত বিধিমালার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি রেনল্ডের প্রেরিত ই-মেইলের কড়া সমালোচনা করে এটাকে ‘চরম ক্রোধ উদ্রেককারী’ বলে উল্লেখ করেন। এদিকে জনসনের অফিস আইটিভির রিপোর্টের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।