‘কেলেংকারি’ স্বীকার করলেন বরিস, চাইলেন ক্ষমা
‘মানুষ মরছেন আর তারা মদের পার্টি করছেন’
২০২০ সালের ২০ মে লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙ্গে মদের পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ নিয়ে দেশটির বিরোধী দলের নেতা ও বহু নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে আজ বুধবার বরিস জনসন তার এমন কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন এবং দেশটির জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিস জনসন স্বীকার করেছেন তিনি সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ‘ব্রিং ইউর ওন বুজ’ বা ‘আপনার নিজের মদ আনুন’ পার্টিতে যোগদান করেছেন। বরিস বলেছেন, তিনি ২৫ মিনিটের জন্য পার্টিতে ছিলেন। আমি বৃটিশ জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী।
বুধবার পার্লামেন্টে বরিস বলেন, আমি বুঝি আমার নেতৃত্বের সরকারকে নিয়ে তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ, কেননা তারা ভাবছে যখন ডাউনিং স্ট্রিটে নিয়মগুলো যারা তৈরি করে তারাই তা সঠিকভাবে মানছে না।
বরিস যে মাসে মদের পার্টিতে যোগদান করেছেন সে সময় প্রিয়জনদের হারানো পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। আলজেন্দ্রা গোদয় যিনি তার মাকে হারিয়েছেন বিবিসিকে বলেন, আমি সত্যি প্রধানমন্ত্রী বরিসকে ঘৃণা করি। লিসা উইলকি নামে আরেকজন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, মানুষ মারা যাচ্ছে আর তারা মদের পার্টি করছে। বরিস জনসনের পার্টি করার মাসে এই নারী তার ভাইকে হারান।
আমান্ডা ম্যাকইগান ২০২০ সালের মে মাসে তার কন্যা সন্তানকে হারান। তার মেয়ে ক্যান্সারে মারা যান কিন্তু সে সময় করোনার বিধিনিষেধের কারণে শেষ মাসগুলোতে তার মেয়ে বন্ধুদের ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
২০২০ সালে বরিস জনসন লকডাউন ভেঙ্গে যে পার্টি করেছেন সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক মেইলে এই তথ্য জানা গেছে। বৃটিশ আইটিভি এই মেইল প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই পার্টিতে অন্তত ১০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সে দিন প্রায় ৪০ জন অংশ নেন। যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডসও উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের ২০ মে আয়োজন করা হয় ওই পার্টির। সে সময় দেশটিতে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করা নিষিদ্ধ ছিল।
আইটিভির খবর, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস ডাউনিং স্ট্রিটের ওই পার্টিতে অংশ নিতে ১০০ এর বেশি জনকে মেইল করেন। এসবের মধ্যে রয়েছেন বরিসের উপদেষ্টা, বক্তৃতা লেখক এবং দরজার স্টাফ।