যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি নভেম্বরে মহামারীপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছিলো
যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি গত নভেম্বরে প্রথমবারের মতো মহামারী পূর্ব পর্যায় অতিক্রম করেছিলো। এই মাস জুড়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ০.৯ শতাংশ। ক্রিসমাসপূর্ব কেনাকাটায় অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি এর আংশিক কারণ। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস বলেছে, রেস্টুরেন্ট বুকিং এবং নির্মাণকাজে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ও এই প্রবৃদ্ধির পেছনে কাজ করেছে, যা অর্থনীতির ০.৭ শতাংশের রূপ পরিগ্রহ করে। এটা ২০২০ সালের মার্চের পর্যায়ের উর্ধে।
সিটি অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতির শুধুমাত্র ০.৪ শতাংশ সম্প্রসারণের প্রত্যাশা করেছিলেন এবং বলেন, নভেম্বর ২০২১ সালের একটি উচ্চ পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হবে।
ওমিক্রন শুরুর পূর্বে ওএনএস এই পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে। ওমিক্রণ সংক্রমণ হলে হাজারো শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সরকার প্ল্যান-বি বিধিনিষেধ আরোপে বাধ্য হয়। এরপর অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি হয় ০.২ শতাংশ।
ওএনএস বলেছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি অনুপাত হিসেবে স্বাস্থ্যসেবায় অব্যাহত বৃদ্ধি ছিলো জিডিপি বৃদ্ধির সহায়ক বিষয়।
ব্রিটিশ চেম্বার অফ কমার্স এর প্রধান অর্থনীতিবিদ সুরেন থিরু বলেন, প্ল্যান-বি প্রত্যাহারে যখন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হওয়ার কথা, তখন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি এবং উপর্যুপরি সরবরাহে প্রতিবন্ধকতার মানে হচ্ছে, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যত চাপের মধ্যে থাকা।
বিশ্লেষকরা বলেন, গ্রীষ্মকাল থেকে অর্থনীতি যখন সংগ্রাম করছে, তখন ২০২২ সালে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিদ্যমান। অবশ্য জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ফলে ভোক্তা ব্যয় বাধাগ্রস্ত হবে।
ক্রেডিট ইনস্যুরার ইউলার হারমিস এর অর্থনৈতিক গবেষণা প্রধান আনা বোয়াটা বলেন, কোভিডের ফলে তখনো ভুগতে থাকা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসতে হয়েছিলো। আমরা আশা করি, চলতি বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.৪ শতাংশে পৌঁছাবে এবং ২০২৩ সালে তা হবে ২.৬ শতাংশ।