জোরালো হচ্ছে বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবি
লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে ডাউনিং স্ট্রিটে নিয়মিত একাধিক পার্টি আয়োজনের কথা প্রকাশ্যে আসার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে। শনিবার বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার পদত্যাগের দাবি তুলে বলেছেন, জনসন নেতৃত্ব দিতে পারেননি।
করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারি বিধিনিষেধ জারি থাকলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটে প্রতি শুক্রবার নিয়মিত মদ্যপানের পার্টি আয়োজন করা হতো বলে ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। বিশেষ করে পার্টির জন্যই একটি ওয়াইন ফ্রিজ কেনা হয়েছে।
এরই মধ্যে দুবার ক্ষমা চেয়েছেন বরিস জনসন। শুক্রবার ক্ষমা চান রানি এলিজাবেথের কাছে। রানির স্বামী প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃতের আগের দিন ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা এমনই এক পার্টি আয়োজন করেছিলেন।
জনসন ও তার কর্মীরা জেনেশুনে লকাডাউনে আইন ভেঙেছেন কিনা তা-ই এখন ব্রিটিশ রাজনীতিতে আলোচনার বিষয়। এজন্য সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা একটি তদন্ত পরিচালনা করছেন। আগামী সপ্তাহে এই প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে।
আল জাজিরার প্রতিনিধি ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানান, অনেক নাগরিক এসব পার্টি আয়োজনের ব্যাখ্যাকে হাস্যকর মনে করছেন। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কনজারভেটিভ পার্টিকে ঘিরে। আমরা জানতে পারছি যে দলের অনেক একনিষ্ঠ সমর্থক এমপিদের কাছে ক্ষোভপূর্ণ ইমেইল পাঠাচ্ছেন। কেউ কেউ দলের সদস্যপদ বাতিল করছেন।
শুক্রবার প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একই দিন মানুষ জনসনের মুখোশ পরে ডাউনিং স্ট্রিটে নেচেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত পাঁচজন এমপি জনসনের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছেন। তবে জনসন নেতৃত্ব বাঁচাতে মরিয়া।
বিরোধী দল লেবার পার্টি বলছেন, জনসন প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য উপযুক্ত নন। লেবার কেইর স্টার্মার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনসন প্রতারণায় নিমগ্ন।