ক্ষতিপূরণ এড়াতে ইসলাম বিদ্বেষী টমি রবিনসনের দেউলিয়াত্ব ঘোষণা
ইসলাম বিদ্বেষী উগ্র ডানপন্থী কর্মী টমি রবিনসন উচ্চ আদালতে এক এক মানহানি মামলা চলাকালে নিজেকে দেউলিয়া দাবি করেছেন। পাওনাদারদেব ২ মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ থেকে রেহাই লাভের জন্য তিনি এটা করেছেন বলে অনেকেব ধারনা। ফলে ক্ষতিপূরণ বাবদ একটি টাকাও পায়নি মানহানি মামলার ভিকটিম।
এই উগ্র ডানপন্থী কর্মী ইংল্যান্ড ডিফেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রকৃত নাম স্টিফেন ক্রিস্টোফার ইয়াক্সলী-লেনন। তিনি গত বছর একটি হাইকোর্ট মামলাকালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন। উক্ত মামলায় তাকে এক সিরীয় বালককে ১লাখ পাউন্ড জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। বালকটি তার দ্বারা মানহানির শিকার হয়।
আগামী মার্চে রবিনসন দেউলিয়া মামলা থেকে খালাস পাবে। এর অর্থ হচ্ছে, মামলার আদেশ অনুযায়ী ৬ অংকের আইনী খরচসহ কোন অর্থ তাকে পরিশোধ করতে হবে না।
প্রচারণাকারী গ্রুপ ‘হোপ নট হেইট’ বলেছে যে, তাদের বিশ্বাস, সম্পত্তি অধিগ্রহণ, বিনিয়োগ, দান ও বই বিক্রির মাধ্যমে রবিনসন প্রায় ৩ মিলিয়ন পাউন্ডের মালিক।
গ্রুপটি আরো বলেছে, নতুন তদন্তের কাছে এক গুচ্ছ কাগজ তারা দাখিল করবে। হোপ নট হেইট -এর প্রধান নির্বাহী নিক লাউলেস বলেন, এটা সম্পূর্ণ অন্যায় যে তার ভিকটিমের জীবন বিপর্যস্ত হবে আর টমি রবিনসন আগের মতোই জীবন কাটাবে।
সিরীয় স্কুল বালক জামাল হিজাজী স্কুলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি ভিডিও করা হয়। ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পরই রবিনসন মিথ্যাভাবে ফেইসবুকে দাবি করে যে, হামজা নির্দোষ নয় এবং সে তার স্কুলে ব্রিটিশ মেয়েদের ওপর সহিংস হামলা চালায় । ভিডিওটি প্রায় ১০ লাখ মানুষ দেখেছিলো।
বিচারক মিঃ জাস্টিস নিকলিন বলেন, রবিনসনের মিথ্যাচারের পরিণাম হিজাজীর জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল এবং সারাজীবনের জন্য না হলেও এ ঘটনার ক্ষত তাকে বহু বছর বয়ে বেড়াতে হবে।