ক্লারনা যুক্তরাজ্যে সুদহীন ক্রেডিট কার্ড চালু করছে
‘বাই নাউ, পে লেইটার’ মার্কেটের প্রবর্তক সুইডিশ টেক জায়ান্ট ক্লারনা যুক্তরাজ্যে একটি ফিজিক্যাল পেমেন্ট কার্ড চালু করছে। এই কার্ডের মাধ্যমে লোকজন অর্থ পরিশোধের জন্য এক মাস সময় পাবেন। ‘পে ইন থার্টি’ প্রোডাক্টের সাথে সংগতি রেখে ক্লারনা এই অনলাইন অফার দিচ্ছে। এজন্য কোন সুদ বা বিলম্ব ফী দিতে হবে না গ্রাহকদের।
কালো কিংবা গোলাপী বর্নের এই কার্ড স্বল্পমূল্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় সুবিধা দেবে, যখন কেউ বিদেশে অর্থ খরচ করবেন। এটা ‘অ্যাপল্ পে’ এবং ‘গুগল পে’র সাথে সম্পৃক্ত করা হবে। গ্রাহকেরা দোকানে ‘বাই নাউ, পে লেইটার’ সুবিধার পাশাপাশি এই নতুন কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন দোকানগুলোতে অর্থ পরিশোধের জন্য ক্লারনাকে ব্যবহার করতে পারবেন, যেগুলো কোম্পানীর অংশীদার নয়।
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লারনা ‘বাই নাউ, পে লেইটার’ কিংবা বিএনপিএল এর প্রবর্তক। এগুলো জনগনকে তাদের স্বল্প ই-মেইল ঠিকানার পাশাপাশি অনলাইনে সামগ্রী ক্রয়ের সুবিধা দিয়ে থাকে। এজন্য ক্রেতাকে সময়ব্যাপী কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের সুযোগ প্রদান করে। এক্ষেত্রে লোকজন এক মাস এমনকি তার চেয়েও বিলম্বে অর্থ পরিশোধ করতে পারেন।
এর মূল ধারনা হচ্ছে, গ্রাহক বা ক্রেতাদের বহুমূখী আকৃতির সামগ্রী ক্রয় এবং ফেরত প্রদানের সুযোগ দেয়া, যেগুলো তাদের প্রয়োজন নেই। যা কিনবেন শুধু এর জন্যই অর্থ দেবেন। ক্লারনা ক্রেতাদের ওপর কোন ধরনের সুদ আরোপ করে না, বরং মার্চেন্টদের নিকট থেকে একটি ফী গ্রহন করে।
ক্লারনার বক্তব্য হচ্ছে, তাদের প্রোডাক্ট বা পন্য বিক্রির হার বৃদ্ধি করে, আর দোকানগুলো কর্তৃক তা ব্যবহারের যৌক্তিকতা এটাই। যুক্তরাজ্যে ক্লারনা চালু হয় ২০১৬ সালে। করোনা মহামারির সময় যখন কেনাকাটা অনলাইনে স্থানান্তরিত হয়, তখন এটা বিপুলভাবে বর্ধিত হয়।
‘ফাইন্যান্সিয়াল অথোরিটি’র পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে এর মার্কেট ২.৭ বিলিয়নে উন্নীত হয়। ক্লারনার অধিকাংশ গ্রাহক তরুন-যুবা, যারা ক্লারনার পোশাক ও জুতো ক্রয়ে আগ্রহী।
ক্লারনা’র যুক্তরাজ্য প্রধান অ্যালেক্স মার্শ বলেন, স্ট্যান্ডার্ড ১ কোটি ৬০ লাখ ব্রিটেনের বাসিন্দা এখন তাদের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন এবং গড় ক্রয় ৭৫ পাউন্ড। ক্লারনা যুক্তরাজ্যে ১৮ হাজার রিটেইলার অর্থ্যাৎ খুচরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত।