বিএনপিকে পাই পাই হিসাব দিতে হবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে কোটি কোটি ডলার দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। তাদের এ টাকা কোথা থেকে এলো তার পাই পাই হিসাব দিতে হবে। প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব ও সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। টানা ৪৮ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সাতজন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার মধ্যে আমাদের বর্তমান পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার সময় তিনি র্যাবের ডিজি ছিলেন। সেই সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত টুইট করে বলেছেন, বাংলাদেশ এই সংকট সমাধান করতে পারবে না। কিন্তু সকাল ৯টার মধ্যেই বাংলাদেশ সংকট সমাধান করে। এরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সেই টুইট সরিয়ে ফেলা হয়। সংকট সমাধানে যারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কেন? আমেরিকাকে আমি দোষ দিবো না। ইঁদুর বাঁশ কাটলে কাকে দোষ দিবো? প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ সব থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি যাদের পছন্দ নয় তারাই শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের সর্বনাশ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ক্ষমতায় থেকে বিএনপি দেশের অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করে সেই অর্থ দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। এদের কোনো দেশপ্রেম নেই, দেশের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই দেশের অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করতে, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নানা চক্রান্ত করছে। বিএনপি দেশকে ধ্বংস করা, লুটপাট করা, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করা ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। কিন্তু দেশের জনগণের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে যে, কোনো অসত্য-অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে দেশের জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই।
নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে দেশের জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করা, কেড়ে নেয়া নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তার বড় প্রমাণ। বিএনপি এই নির্বাচনেও নানা খেলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষাসহ সব কিছু আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। একমাত্র আওয়ামী লীগের আমলেই দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত থাকে।