ইইউ’র সরবরাহকারীরা যুক্তরাজ্য ত্যাগ করায় খাদ্যের দাম বাড়বে
যুক্তরাজ্যের খুচরো ব্যবসায়ী ও পরিবহন কোম্পানীগুলো এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, ব্রেক্সিট জটিলতাকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরবরাহকারীরা যুক্তরাজ্যকে ত্যাগ করায় ব্রিটিশ ক্রেতাদের খাদ্য ও চড়ামূল্য বৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হবে।
বিশেষজ্ঞ ফুডশপগুলো বিশেষভাবে সংকটে পড়বে ১ জানুয়ারী থেকে চালু আমলাতন্ত্রের দ্বারা। অনেকের শংকা, তাদের ব্যবসা বেশী দিন চালানো যাবে না, যখন জুলাই মাসে খাদ্য আমদানির ওপর দৈহিক পরীক্ষা চালু করা হবে।
একটি পরিবহন সংস্থা প্রত্যেক দফা পেপারওয়ার্ক, প্রশাসন ও বিলম্বের ফলে ইইউ কোম্পানীসমূহ ক্রমশ: যুক্তরাজ্যকে ত্যাগ করায় ব্রেক্সিটকে ‘হাজারো কর্তনে মৃত্যু’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
লন্ডনের বারা মার্কেট- এ ব্যবসায়ীরা গোটা বিশ্ব থেকে আসা পণ্য বিক্রি একটি ভালো বছরের মুখ দেখার কথা। কারন মহামারি হ্রাস পাচ্ছে এবং পর্যটকরা ফিরে আসছেন। তবে বিখ্যাত মার্কেটের অনেকেই এখনো নার্ভাস বোধ করছেন, এমন মন্তব্য করেছেন জার্মান ডেলি- এর স্বত্বাধিকারী ক্লাউস কুহনকে। ক্লাউস ১৯৯৯ সালে জার্মান ডেলি প্রতিষ্ঠা করেন। তার পন্যের পরিবহন ও প্রশাসনিক ব্যয় দ্বিগুন হয়ে গেছে। ব্রেক্সিটের পর তার শিপমেন্ট পৌঁছতে আগের চেয়ে বিলম্ব হচ্ছে। উদাহরনস্বরূপ- এক প্যাকেট ঈস্ট, যার দাম ছিলো কয়েক পাউন্ড, যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরে তার ওপর কাস্টমস্ চার্জ আরোপ করা হয়েছে ৫ পাউন্ড এবং ইইউ-য়ের অভ্যন্তরে ৫ ইউরো।
তিনি বলেন, আমি ঐ পন্য আর মজুত করতে পারি না। আমার মার্জিন কোথায়? আমাকে পন্যের চেয়ে প্রশাসনের জন্য অধিক অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। সবকিছুই বোকামী ও দিকভ্রান্ত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
চলতি বছর জুলাই মাসে খাদ্যের যখন ফিজিক্যাল চেক চালু হবে তখন বর্তমান মজুতের এক তৃতীয়াংশও সরবরাহ করা সম্ভব হবে না, এমন আশংকা ক্লাউস কুহনকের। যে লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানকে তিনি গত কুড়ি বছর ধরে ব্যবহার করছেন, তারা তার পন্য আর পরিবহন করবে না, কারন তারা ঝামেলায় যেতে চায় না।
স্কটল্যান্ড ফুড এন্ড ড্রিংক্স- এর প্রধান নির্বাহী জেমস্ উইদার্স বলেন, চলতি বছর চালু হওয়া নতুন ইউকে ইমপোর্ট কন্ট্রোলের ফলে অনেক ইইউ ব্যবসায়ী যুক্তরাজ্যের চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবসা করা সহজতর বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।