বড় বড় সমস্যা বাদ দিয়ে বরিস জনসন নিজের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত
অন্যান্য বড় বড় সমস্যা বাদ দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কায়ার স্টারমার। কভিড বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজন করাকে বরিস জনসনের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’ উল্লেখ করে সু গ্রে’র প্রতিবেদন প্রকাশের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কায়ার স্টারমার বলেন, কত মানুষ বিদ্যুৎ বিলসহ কত সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, আর প্রধানমন্ত্রী নিজের পিঠ বাঁচাতে সব সময় অপচয় করছেন। আমরা জেনেছি যে, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে আলোচনা করার জন্য চ্যান্সেলরের সঙ্গে তার আলোচনায় বসার কথা। কিন্তু সেটা বাতিল করা হয়েছে কারণ তিনি নিজের চাকরি বাঁচার জন্য অন্যান্য মিটিং করছিলেন।
২০২০ সালের ২০ মে ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে পার্টি আয়োজন করাকে কেন্দ্র করে বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে গোটা যুক্তরাজ্য। বিরোধীদলের নেতাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্তাপ ছড়িয়েছেন নিজ দলের নেতারাও। রক্ষণশীল টোরি এমপিদের অনেকেই বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা চিঠি পর্যন্ত পাঠিয়েছেন। সে সময় বেশ কয়েকজন এমপি জানিয়েছিলেন, সু গ্রে’র পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। সম্প্রতি ক্যাবিনেট অফিসে জন্মদিন আয়োজনের খবরটি সামনে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। ঘটনাগুলো আলাদাভাবে তদন্ত করছে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে এবং লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এন্ড্রু মিশেল নামে টোরি এমপি বিবিসি রেডিওকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মধ্যযুগীয় কায়দায় সরকার পরিচালনা করছেন এবং তিনি পার্টির বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কথা বলেছেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের দায় স্বীকার করে অনুশোচনা করেছেন এবং ডাউনিং স্ট্রিট নিয়ে চলমান সংকট ঠিক করার পরিকল্পনা তার আছে।
গত সোমবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে পার্টির আয়োজনসহ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সম্পৃক্ততায় ১৬টি জনসমাগমের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত দলের প্রধান সু গ্রে। এর মধ্যে ১২টি ঘটনা পুলিশ এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিস্তারিতভাবে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এ সরকারি কর্মকর্তা।