পর্যটক ফেরাতে লন্ডন মেয়র সাদিক খানের পরিকল্পনা
লন্ডন মেয়র সাদিক খান অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে একটি প্রচারনার পরিকল্পনা করছেন। মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে হিমশিম খাওয়া সেন্ট্রাল লন্ডনের সংকট উত্তরনে তিনি এমন পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। মেয়র যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পাশাপাশি ফ্রান্স ও জার্মানীকে টার্গেট করে গত বছরের ‘লেটস্ ডু লন্ডন’- এর মতো প্রচারনা চালাবেন, যাতে অভ্যন্তরীন পর্যটকরা লন্ডন ভ্রমনে উৎসাহিত হন।
মেয়রের কভিড সংক্রান্ত ব্যবসায়িক ফোরাম এ পরিকল্পনা প্রনয়ন করছে এবং জনাব খান লন্ডনের জন্য ‘ঢোল বাজাতে’ বসন্তের প্রথমভাগে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমনে যাবেন।
তিনি বলেন, তিনি আশা করেন, চলতি বছর ট্রাফালগার স্কোয়ার ‘সেন্ট প্যাট্রিকস্ ডে’ এবং সেন্ট জজেস ডে’র অনুষ্ঠানসমূহের আয়োজন করবে। মেয়র বলেন, তিনি লন্ডন ম্যারাথনের দিকে চেয়ে আছেন, যা চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছর থেকে এটা এর ঐতিহ্যবাহী এপ্রিল তারিখে ফিরে যাবে।
গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় যে, প্রাইড উৎসব এবং অর্ধশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২ জুলাই সেন্ট্রাল লন্ডনের রাস্তায় ফিরবে। তিনি বলেন, ইনার ও আউটার লন্ডনের অনেক অংশের অবস্থা বেশ ভালো। সেসব স্থান পুর্বাবস্থায় ভালোই ফিরেছে। মহামারির সময় যেহেতু লোকজন ঘরে বসেই কাজ করছেন, তাই ঐসব এলাকার অর্থনীতি ভালোই হয়েছে। মূল সংকট সেন্ট্রাল লন্ডন, লন্ডন নগরী, ওয়েস্ট মিনিস্টার, ক্যামডেন, কেনসিংটন ও চেলসী, সাউথ ব্যাংক ও ক্যানারি হোয়ার্কে। প্রথম যে কাজটি আমাদের করতে হবে তা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, এজন্য আমরা একটি প্রচারাভিযানের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। সেটা হচ্ছে ‘লেটস্ ডু লন্ডন’, যা দেশের অনেক পর্যটককে ফিরিয়ে আনতে উৎসাহিত করবে এবং এখন আমরা উত্তর আমেরিকায় আমাদের প্রচারনার জন্য কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, তিনটি টার্গেট অডিয়েন্স বা শ্রোতা, যারা আমাদের নগরীর কেন্দ্রকে সহায়তা করবে সেগুলো হচ্ছে, উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা), ফ্রান্স ও জার্মানী।
লক্ষনীয়, লকডাউনের বিধি নিষেধ এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে পর্যটক ব্যয় প্রায় ১১ বিলিয়ন পাউন্ড হ্রাস পায়। যুক্তরাজ্যের পর্যটকদের রাজধানীতে ফেরাতে ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের ‘লেটস্ ডু লন্ডন’ প্রচারাভিযান সহায়ক হবে বলে তার বিশ্বাস। গত বসন্তে ২ লাখ ৮০ হাজার অভ্যন্তরীন পর্যটক লন্ডন ভ্রমনে আসেন। এতে লন্ডনের অর্থনীতিতে যোগ হয় প্রায় ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড।