যৌন নির্যাতনের মামলা মিটমাট প্রিন্স অ্যান্ড্রুর
ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলাটি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করার শর্তে এ মামলা মিটমাট হয়েছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামের এক বালিকা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ২০০১ সালে তাঁকে তিন বার যৌন নির্যাতন করেন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ডিস্ট্রিক্ট আদালতে দাখিল করা একটি নথির তথ্যে দেখা গেছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও জিওফ্রে আদালতের বাইরে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন।
আদালতের বিচারক লুইস এ কাপলানের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা জিওফ্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ‘যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ’ দেবেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতে একটি চিঠি জমা দিয়ে জানানো হয়েছে, ভার্জিনিয়া জোফ্রে এবং ডিউক অব ইয়র্ক আদালতের বাইরে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জোফ্রেকে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ দেবেন অ্যান্ড্রু, তবে সেই অংক প্রকাশ করা হয়নি। জোফ্রে ও অ্যান্ড্রুর আইনজীবীদের যৌথ স্বাক্ষরে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে দুই পক্ষ ‘নীতিগতভাবে এই সমঝোতায়’ উপনীত হয়েছে। “ভার্জিনিয়া জোফ্রে সমঝোতার অর্থ পাওয়ার পর দুই পক্ষ এই মামলা তুলে নিতে আবেদন জমা দেবে।” যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের অধিকার রক্ষায় সহায়তার জন্য জোফ্রের দাতব্য সংস্থায় অ্যান্ড্রু ‘একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ’ অর্থ দান করবেন বলেও জানানো হয় সেখানে। ভার্জিনিয়া জোফ্রে এবং অন্যান্য ভুক্তভোগীদের সাহসিকতার জন্য প্রশংসাও করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
প্রিন্স অ্যান্ড্রুর আইনজীবীরা বলে আসছিলেন, তাদের মক্কেল ভার্জিনিয়া জোফ্রের করা মামলায় লড়তে প্রস্তুত এবং এ বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় বিচার প্রক্রিয়ায় জুরিদের মুখোমুখি হতে তৈরি আছেন। তবে আদালতে সমঝোতার চিঠি ও বিবৃতি জমা দেওয়ার পর ডিউকের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই মামলা নিয়ে তিনি আদালতে যে নথি জমা দিয়েছেন তার বাইরে আর কোনো মন্তব্য করতে চান না। বাকিংহ্যাম রাজপ্রাসাদও এই সমঝোতা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।