যুক্তরাজ্যে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাজ্যে গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। জ্বালানীর বিল বৃদ্ধির ফলে এমনটি ঘটে। বেড়ে যায় বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম। এর প্রেক্ষিতে গৃহস্থালীসমূহের জীবনযাত্রার মান সংকুচিত হয়ে পড়ে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস বলেছে, গত মাসে মূল্যস্ফীতির নির্দেশক কনজিউমার প্রাইসেজ ইনডেক্স উপর্যুপরি ১৩ তম বারের মতো ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। পোশাক জুতো ও ফার্নিচারের মূল্যবৃদ্ধি এই মূল্যস্ফীতির দিকে নিয়ে যায়।
সিটি ইকোনমিক্সগণ মূল্যস্ফীতি ৫.৪ শতাংশে থাকার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। ওএনএস বলেছে মূল্যস্ফীতি সর্বশেষ বেশি ছিলো ১৯৯২ সালে, যা পৌঁছেছিলো ৭ দশমিক ১ শতাংশে।
সিপিআই এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের চেয়ে বেশি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলো।
ব্যবসায়ী ও ভোক্তা গ্রুপসমূহ বলেছে মূল্যস্ফীতির তীব্র বৃদ্ধি জীবনযাত্রার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে অসচ্ছলতার দিকে ঠেলে দেবে। এ অবস্থায় লেবার ও ইউনিয়নগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, সরকার যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ।
সিবিআই লবি গ্রুপ বলেছে, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ কর কর্তনের মাধ্যমে সরকারের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা প্রয়োজন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের উচিত টেকসই বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা।
টিইউসি‘র জেনারেল সেক্রেটারি ফ্রান্সিস ও‘গ্র্যাডি বলেন, এপ্রিলে অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় ও করবৃদ্ধি পরিবারগুলোকে অন্যত্র সঞ্চয়ে বাধ্য করে।এর মানে হচ্ছে, ব্যবসার আয় হ্রাস এবং আর্থিক পুনরুদ্ধার রুদ্ধ হওয়া।
গত মঙ্গলবার সরকারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরে একটি বার্ষিক মজুরী বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি দূরীকরণে ব্যর্থ হয়েছে। আগামী মাসগুলোতে সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি মাথায় রেখে বলেছে, বিগত চল্লিশের দশকের ব্রিটেন জীবন যাত্রার মানের সবচেয়ে শোচনীয় সংকোচনের পথে ছিলো
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক মূল্যস্ফীতির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ সমর্থন করে বলেন, ট্রেজারি অর্থ্যাৎ অর্থবিভাগ ক্রমবর্ধমান জ্বালানী বিলের প্রেক্ষিতে লাখ লাখ গৃহস্থালীর প্রত্যেকটিকে ৩৫০ পাউন্ড পর্যন্ত প্রদান করবে।
তিনি বলেন, আমরা ইউনিভার্সেল ক্রেডিট ট্যাপার রেইট কর্তন এবং মদ ও জ্বালানী কর ফ্রিজ অর্থাৎ বন্ধ করণের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকজনকে সহায়তা করছি।