প্রতারনার অর্থ পুনরুদ্ধারে কর বিভাগের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
ব্রিটিশ এমপিদের একটি প্রভাবশালী গ্রুপ এইচএম রেভিনিউ এন্ড কাস্টমস্- এর বিরুদ্ধে কভিড সহায়থা অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে বড়ো ধরনের প্রতারনার ব্যাপারে অজ্ঞ ও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ এনেছে। প্রতারনাপূর্বক গৃহীত কভিড-১৯ সহায়তার ৬ বিলিয়ন পাউন্ড পুনরুদ্ধারে নিষ্ক্রিয়তার জন্য তারা রাজকীয় কর ও শুল্ক বিভাগকে দায়ী করেছেন। ব্রিটেনের পাবলিক একাউন্ড কমিটি (পিএসি), যা রাষ্ট্রীয় ব্যয় পর্যবেক্ষন করে থাকে, এইচএমআরসি’র সমালোচনা করে এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছে যে, প্রতারক গোষ্ঠীর কাছে অর্থ সমর্পন ব্রিটেনকে শেষ পর্যন্ত ঘিরে ফেলা জীবনযাত্রার ব্যয়ই বৃদ্ধি করবে।
কমিটি ফারলো স্কীম এবং অতিথেয়তা খাতের জন্য ঋষি সুনাকের ইট আউট টু হেলপ্ আউট- এর মাধ্যমে প্রতারনামূলক দাবির বিপুল অর্থ প্রদানের ওপর আলোকপাত করে। প্রতারনাকৃত ৬ বিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে ২ বিলিয়ন পাউন্ড উদ্ধার করা যেতে পারে এই মর্মে এইচএমআরসি- এর পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তারা বলেন, ফারলো স্কীমের অর্থ নিয়ে প্রতারনা ও ত্রুটিবিচ্যুতি সত্বেও নিয়োগদাতারা পার পেয়ে যাওয়ার বিষয়টি একটি প্রকৃত উদ্বেগের বিষয়।
তারা প্রশ্ন করেন, এইচএমআরসি কভিড সহায়তা প্যাকেজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতারনা ও ত্রুটিপূর্ন পরিশোধ সংকেত প্রদান করে? এইচএমআরসি বলেছে, কী পরিমান অর্থ পুনরুদ্ধার করা এটা বলার অর্থ এই নয় যে, বাকী অর্থ মওকুফ করা হয়েছে। তারা এর অনুসন্ধানে ইচ্ছুক।
কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে, এইচএমআরসি অর্থ পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট কাজ করছে না এবং তাদের ব্যাপক দায়িত্ব পালনেও ব্যর্থ হচ্ছে। রীভস আরো বলেন, এটা নিন্দনীয়। এটা লজ্জার বিষয় যে চ্যান্সেলর করদাতাদের কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড বাতিল করে দিয়েছেন, যে অর্থ এখন অপরাধী ও কুচক্রীদের হাতে।
ছায়া চ্যান্সেলর র্যাচেল রীভস্ কর্তৃক নিন্দা জানিয়ে ধারাবাহিক সমালোচনার প্রেক্ষিতে পিএসি বলেছে যে, এইচএমআরএস কার্যকরভাবে ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের কভিড সংক্রান্ত প্রতারনা বাতিল করেছে এবং প্রতারনামূলক পরিশোধকৃত এই অর্থ পুনরুদ্ধারে তাদের পরিকল্পনা উচ্চাভিলাসি নয়। এর ফলে এটা অসাধু ব্যক্তিদের পুরষ্কৃতকরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এইচএমআরসি যারা কর এড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযান চালাচ্ছে না। পিএসি’র চেয়ারম্যান ডেইম মেগ হিলিয়ার এইচএমআরসি পরিচালিত তিনটি কভিড গ্রান্ট স্কীম ফারলো, সেলফ এমপ্লয়মেন্ট ইনকাম সাপোর্ট স্কীম এবং অতিথেয়তা খাতের জন্য ঋষি সুনাকের ইট আউট টু হেলপ্ আউট- এর মাধ্যমে প্রতারনামূলক দাবির বিপুল অর্থ প্রদানের ওপর আলোকপাত করেন।
প্রতারনাকৃত ৬ বিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে ২ বিলিয়ন পাউন্ড উদ্ধার করা যেতে পারে – মর্মে এইচএমআরসি- এর পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফারলো স্কীমের অর্থ নিয়ে প্রতারনা ও ত্রুটিচিত্যুতি সত্বেও নিয়োগদাতারা পার পেয়ে যাওয়ার বিষয়টি একটি প্রকৃত উদ্বেগের বিষয়।
সরকারের জনৈক মুখপাত্র বলেন, কোন প্রতারনাকৃত অর্থ বাতিল করা হয়নি এবং অতিরিক্ত প্রদত্ত অর্থ পুনরুদ্ধারে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করছি। আমাদের ট্যাক্সপেয়ার প্রোটেকশন টাস্কফোর্স প্রতারকদের কিংবা ভুলভাবে প্রদত্ত ১ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করছে। তিনি আরো বলেন, স্কীমের প্রদত্ত অর্থের বিশাল অংশ সঠিকভাবে নিয়োগদাতাদের প্রদান করা হয়েছে এবং বৈধ দাবিদাররা ভুল করেছে কিংবা তাদের দাবি বর্ধিত করে প্রদান করেছে, প্রায়শঃ প্রতিটি কেসে ক্ষুদ্র পরিমান অর্থের ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে।