পশ্চিমাদের একাই ‘নাচাচ্ছেন’ পুতিন!
শ্যামল রায়: ইউক্রেন ইস্যুতে বাজছে যুদ্ধের দামামা। দেশটিকে নিয়ে এক দিকে একাই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া, অন্যদিকে পুরো পশ্চিমা বিশ্ব। যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমাদের শঙ্কা। তবে রাশিয়া বারবার দাবি করে আসছে, হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। রাশিয়ার এমন কথায় বিশ্বাস নেই পশ্চিমাদের। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় দেড় লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এছাড়া হাজার হাজার সেনা নিয়ে বেলারুশে ১০ দিনের মহড়া শুরু করেছে রুশ বাহিনী। এতেই দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে পশ্চিমাদের।
ইউক্রেন ইস্যুতে সমাধান খুঁজতে পশ্চিমারা রাশিয়ার সঙ্গে দফায় দফায় কূটনৈতিক বৈঠক করে আসছেন। গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরবর্তীতে বৃস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বার্লিনে ফরাসি ও জার্মান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলের রাশিয়া আর ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে কোনো বৈঠকেই ফলপ্রসু হয়নি বলে খবরে এসেছে।
এদিকে সর্বশেষ আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে ফোনালাপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এছাড়া আজ ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পদক্ষেপও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলা চালালে করুণ পরিণতি হবে রাশিয়ার- এমন হুঙ্কার শুরু থেকেই দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ন্যাটোসহ ইউরোপীয় দেশগুলো। তবে এই হুঁশিয়ারিকে আদৌ কি পাত্তা দিচ্ছেন পুতিন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মস্কো সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে এক বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর হুমকি বা চূড়ান্ত সময়সীমা কোনো কাজে আসবে না।
এদিকে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সতর্কবার্তা দিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। আমেরিকান নাগরিকদের উচিত ইউক্রেন দ্রুত ত্যাগ করা।
১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিমান হামলার মাধ্যমে আক্রমণ শুরু হতে পারে। এতে আমেরিকানদের প্রস্থান কঠিন হবে ও বেসামরিক নাগরিকরা বিপদে পড়বে।’