ব্রিটেনে ১৭ হাজার চেইন স্টোর শপ বন্ধ
নতুন গবেষনা অনুসারে, গত বছর ব্রিটেনব্যাপী ১৭ হাজারেরও বেশী চেইন স্টোর আউটলেট বন্ধ হয়ে গেছে। মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব ও অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে এমনটি ঘটেছে। যা-ই হোক ডাটা অর্থ্যাৎ উপাত্ত থেকে বুঝা যায়, অধিক সংখ্যায় স্বাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বস্থানে ফিরে আসায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের হার হ্রাস পাচ্ছে। পিডব্লিউসি’র কনজ্যুমার মার্কেটের প্রধান লিসা হুকার বলেন, সবচেয়ে খারাপ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে।
গবেষনাটি সম্পাদন করেছে লোকাল ডাটা কোম্পানী। তারা ৫ টিরও বেশী দোকান পরিচালনা করে এমন ২ লাখের বেশী আউটলেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে, যেগুলো হাইস্ট্রিটস্, শপিং সেন্টার ও রিটেইল পার্কসমূহে অবস্থিত। এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে রিটেইলার, রেস্টুরেন্ট, বার ও জিমসমূহ। এর পাশাপাশি অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ব্যাংক, টেইকএওয়ে ও হেয়ারড্রেসার।
চার্টে দেখা যায়, গত বছর বন্ধ হওয়ার সংখ্যা কমেছে। যার সংখ্যা ১৭ হাজার ২১৯। ২০২০ সালের তুলনায় কিছু কম। ঐ সময় প্রতিদিন গড়ে ৪৮ টি স্টোর বন্ধ হয়েছে। তবে খোলার ক্ষেত্রে আরেকটি পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ১০ হাজার ৫৯ টি আউটলেটের ক্ষতির দিকে নিয়ে গেছে। এটা ২০১৪ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি।
লোকাল ডাটা কোম্পানীর বানিজ্যিক পরিচালক লুসি স্টেইনটন বলেন, সংখ্যাটি নিঃসন্দেহে মারাত্মক। ২০২১ সালে এই খাতে সামগ্রিকভাবে বন্ধ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে তা নাটকীয় বটে।
মহামারি রিটেইল খাতে পরিবর্তন বৃদ্ধি করেছে। এটা হাইস্ট্রিটস ও টাউন সেন্টারে অনেক উত্থান ঘটিয়েছে। তবে এটাকে হাইস্ট্রিটস- এর মরন বলা যায় না, বরং কিছু ঐতিহ্যবাহী ব্রান্ডের জন্য একটি চূড়ান্ত ঝাঁকুনি ছিলো।
গত ২ বছর ধরে স্যার ফিলিপ গ্রিনের রিটেইল সাম্রাজ্য আর্কেডিয়া এবং ডেবেনহ্যামস- এর মতো কিছু বড়ো হাউসহোল্ড নামের পতন লক্ষ্য করা গেছে। ইতোমধ্যে কিছু লোকেশন অন্যান্যের চেয়ে ভালো করতে দেখা যাচ্ছে।
যদিও ২০২১ সাল মারাত্মক চ্যালেঞ্জিং ছিলো, তা সত্বেও ভ্যাকেন্সি বা পদশূন্যতার হার স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে এবং শূণ্য দোকানের সংখ্যা আর বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, স্বাধীন রিটেইলে একটি বড়ো উত্থান লক্ষনীয় এবং অবকাশ প্রতিষ্ঠানগুলো শূণ্যস্থান পূরন করছে।