রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। বাইডেন বলেন, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সৈন্যদের চলাচল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সোমবার দিনের শেষের দিকে পূর্ব ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে সেনা পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কার্যত এটি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সূচনা। এর কয়েক ঘণ্টা আগে পুতিন ওই অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক আর ইউক্রেনের অংশ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া সরকারকে পশ্চিম থেকে অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করে দেবে এবং তিনি সংকল্প ব্যক্ত করেন, রাশিয়া যদি তার বাহিনী নিয়ে পশ্চিম ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হয়, তবে তাকে আরও বেশি মূল্য দিতে হবে। বাইডেন বলেন, আমরা রাশিয়াকে তার কাজ দিয়ে বিচার করতে যাচ্ছি, কথা দিয়ে নয়।
এদিকে রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নিষেধাজ্ঞা জারির এই ঘোষণা দেন। ব্যাংক পাঁচটি হলো- রসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রোমসভায়াজ ও ব্ল্যাক সি ব্যাংক। এগুলো রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক। এ ছাড়া রাশিয়ার তিনজন ব্যক্তির সব সম্পদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারা হলেন গেনেডি তিমচেনঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ এবং ইগোর রোটেনবার্গ। যুক্তরাজ্যে থাকা তাদের সকল সম্পদ জব্দ অবস্থায় থাকবে। তারা যুক্তরাজ্যে যাতায়াত করতে পারবেন না। যুক্তরাজ্যের কোনো নাগরিক তাদের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য করতে বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য এবং তার সহযোগী মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। এ ছাড়া রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে যুক্তরাজ্য। মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে সেনা পাঠানোর ক্রেমলিনের ঘোষণার ব্যাপারে কথা বলতে তাকে তলব করা হয়।