মুনাফা দ্বিগুন
এইচএসবিসি স্টাফ বোনাস বাড়িয়ে ২.৬ বিলিয়ন পাউন্ড করেছে
কভিড মহামারি থেকে বৈশ্বিক পুনরুদ্ধারের পর গত বছর মুনাফা দ্বিগুন হওয়ায় এইচএসবিসি ব্যাংক তার স্টাফদের বোনাস এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধির ঘোষনা দিয়েছে। লন্ডনে ব্যাংকটির সদর দফতর রয়েছে। ব্যাংক তার স্টাফ বোনাসের পরিমান বৃদ্ধি করে ২.৬ বিলিয়ন পাউন্ড করেছে। জোরদার অর্থনৈতিক তৎপরতার দরুন তাদের এই পদক্ষেপ যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। একটি বিশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন শ্রম বাজারে ব্যাংকারদের জন্য প্রতিযোগিতা প্রয়োজন। এইচএসবিসি’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমাদের দীর্ঘমেয়াদী তৎপরতার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ন যে, আমাদের কৌশলগত অগ্রাধিকারসমূহ প্রদানের জন্য মেধা আকর্ষন ও ধারন আবশ্যক।
ব্যাংক জানায়, তারা গত বছর ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৮ লাখ ৩২ হাজার পাউন্ডের বেশী অর্থ প্রদান করেছে, যা ৪০ শতাংশ বর্ধিত হয়েছে। দেখা গেছে, ১৫ জন ব্যাংকারসহ তালিকাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশী আয় করছেন, যার মধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যাংকারকে দেয়া হয়েছে ১১-১২ মিলিয়ন ইউরো। এটা এইচএসবিসি’র চীফ এক্সিকিউটিভ নিল কুইনকে প্রদত্ত ৪.৯ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রায় দ্বিগুন।
২০২০ সালে কভিড সংকটের প্রথম বছর ক্যাশ বোনাস বাদ বা মওকুফের পর তা পুনর্বহাল করার পর তার বেতন ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। ইতোমধ্যে ব্যাংকটির বার্ষিক করপূর্ব মুনাফা ৮.৮ বিলিয়ন থেকে ১৯ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুনাফা বৃদ্ধির পেছনে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন বিশেষভাবে দায়ী, যা মহামারির সময় ঋন খেলাপী অর্থের পরিমান বৃদ্ধির আশংকা দূরীকরনে তার শত শত মিলিয়ন পাউন্ড রিলিজ অর্থ্যাৎ বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে। এইচএসবিসি ঐ বছর ৯২৮ মিলিয়ন পাউন্ড রিলিজ করেছে ঋনজনিত ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত বিধানের আওতায়।
নিল কুইন আরো বলেন, ব্যাংক একটি উচ্চ লক্ষন নিয়ে বছরটি শেষ করেছে। যুক্তরাজ্যসহ তার সকল অঞ্চলে রেকর্ড পরিমান মুনাফা করেছে। তিনি বলেন, জোরদার কর্মকান্ড বা তৎপরতা সত্বেও ব্যাংকের নেতৃবৃন্দ আগামীতে কভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট অনিশ্চয়তা ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির আশংকার বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন।