যুক্তরাজ্যে নন-ব্রিটিশ রাফ স্লিপাররা বহিষ্কারের ঝুঁকিতে

ব্রিটিশ কয়েক ডজন ‘রাফ স্লিপার’ অর্থ্যাৎ ভাসমান শ্রেণীর লোকজনের তথ্য-উপাত্ত হোম অফিসে প্রদান করা হয়েছে একটি বিতর্কিত কর্মসূচীর আওতায়, যার ফলে তারা যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন। কাউন্সিল ও হোমলেসনেস চ্যারিটিসমূহ গৃহহীন লোকজনের স্পর্শকাতর বিবরন হোম অফিসে ৮৫ বার প্রদান করেছে একটি স্কীমের অধীনে, যার সমালোচনায় মূখর সমালোচকেরা। সমালোচকদের মতে, এটা সরকারের ‘বৈরী পরিবেশ’ নীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার একটি প্রচেষ্টা।
তাদের ‘রাফ স্লিপিং সাপোর্ট সাভিস’- এ (আরএসএস) রেফার্ড হওয়া কতোজন লোক ২০২০ সালের অক্টোবর হতে যুক্তরাজ্য থেকে জোরপূর্বক বহিষ্কৃত হয়েছেন, হোম অফিসও প্রকাশ করবে না। ‘লিবার্টি ইনভেস্টিগেইস’ কর্তৃক সংগৃহীত ডকুমেন্ট অনুসারে, গ্লুসেস্টার ও লীডস্, কীস্টেইজ হাউজিং নামক একটি গৃহসংস্থান সংস্থা এবং তিনটি চ্যারিটিসহ ১১ টি কাউন্সিল কর্তৃক রেফারেলসমূহ তৈরি হয়। যদিও উপরোক্ত তিনটি চ্যারিটির একটি এই বলে স্কীম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে যে, তারা রাফ স্লিপারদের বিপদে ফেলা এড়াতে চায়।
কোন আইনানুগ ভিত্তি নেই এমন কাউকে যদি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতে দেখা যায়, তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বহিষ্কারের সম্মুখীন হবেন- স্বেচ্ছায় কিংবা বলপূর্বক। চ্যারিটি র‌্যামফেল- এর প্রধান নির্বাহী জেমস্ টুল্লেট বলেন, ব্যবহারকারীদের প্রতি বহিষ্কারের ঝুঁকি দূরীকরণে হোম অফিসের ব্যর্থতা স্কীমটিকে অযোগ্য ও করদাতাদের অর্থের অপচয়ে পরিনত করেছে।
হোম অফিস ২০১৮ সাল থেকে স্কীমটি ট্রায়াল করছে। শেষ পর্যন্ত এটা প্রকাশিত হয় যে, অনুমতি ছাড়া রাফ স্লিপারদের ব্যক্তিগত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পর তাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যে এটা তাদের একটি কৌশলের অংশ। মিডিয়া এটা প্রকাশ করে।
‘পাবলিক ইন্টারেস্ট ল’ সেন্টার’ নামক একটি সংস্থা কর্তৃক আইনী চ্যালেঞ্জের পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এটা পুন:চালু করা হয়। রাফ স্লিপারদের পূর্ণ জ্ঞাত অনুমতি লাভের নতুন আবশ্যকীয়তাসহ এটা পুনরায় চালু করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন করেন, রাফ স্লিপারদের সম্ভাব্য অরক্ষিত অবস্থা, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদির কারনে পূর্নজ্ঞাত অনুমতি লাভ করা আদৌ সম্ভব কি-না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button