বোর্ডারস বিল দেশের বাইরের ডিটেনশন সেন্টারসমূহে যৌন নির্যাতন বাড়াবে

নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া জনৈক ভিকটিম বলেছেন, প্রীতি প্যাটেলের বোর্ডারস বিল দেশের বাইরের ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে শিশু ও যৌন নিপীড়নের কারন হবে। চলতি সপ্তাহে হাউস অব লর্ডসে মিসেস প্রীতি প্যাটেলের বিতর্কিত বোর্ডাস বিলের নীতিমালা ভোটে নাকচ হয়ে যাওয়ার পর ভিকটিম নাসরিন পারভেজ এই সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন।
মিসেস পারবেজ একজন কর্মী এবং ইরানের কারাগারে ৮ বছর বন্দী ছিলেন। তিনি বিতর্কিত বিলটি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, এটা ব্রিটেনের বাইরে নতুন ডিটেনশন সেন্টার স্থাপনে সরকারকে অনুমতি দেবে।
লন্ডনে বসবাসকারী ৬৪ বছর বয়সী এই নারী আরো বলেন, আশ্রয়ের দাবি প্রক্রিয়াকালীন সময়ে লোকজনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া ও তালাবদ্ধ করে রাখা হবে। এই অফশোর অর্থ্যাৎ দেশের বাইরে রাখার নীতি, যা অস্ট্রেলিয়ান মডেলের যৌন নিপীড়নের ফল বয়ে আনবে। তিনি বলেন, কল্পনা করুন, নারীরা তাদের আশ্রয় দাবির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষাকালীন সময় দেশের বাইরে কারাগার সদৃশ কেন্দ্রগুলোতে লুক্কায়িত থাকবে এবং আমরা জানি যে, এতে একজন ব্যক্তির ১০ বছরেরও বেশী সময় লাগতে পারে তার সিদ্ধান্ত পেতে।
মিসেস পারভেজ প্রশ্ন করেন, কীভাবে নারী ও বালিকারা লুক্কায়িত ক্যাম্পগুলোতে নিজেদের মানিয়ে নেবে, যেখানে বিপজ্জনক অপরাধী হিসেবে তাদের সাথে আচরন করা হয়, যাদেরকে অবশ্যই বিস্তৃত সমাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি বলেন, নারী ও ছোট মেয়েদের তাদের জীবনের অবশিষ্ট সময়ব্যাপী মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত বয়ে বেড়াতে হবে, এমনকি, যদি তারা শরনার্থী মর্যাদা লাভ করে তবুও।
তার বক্তব্যের সুরে সুর মিলিয়েছেন ‘ফ্রিডম ফ্রম টর্চার’ নামক এনজিওর সিলে রেনল্ডস্, তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, অস্ট্রেলীয় সরকার কর্তৃক বিদেশে স্থাপিত অফশোর প্রোসেসিং সাইটগুলো শিশু নির্যাতনের আখড়া। এটা পীড়াদায়ক যে, বরিস জনসন অনুসরনীয় মডেল হিসেবে এটা গ্রহন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেইন থেকে নারী ও শিশুদের পালিয়ে আসতে দেখছি। তারাও যদি তাদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাজ্যের দিকে আসে, তবে তাদেরকে প্রোসেসিংয়ের জন্য এধরনের ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখা হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button