ব্রিটেনের বাসিন্দারা প্রাইভেট চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছেন

সম্প্রতি বামপন্থী থিংক ট্যাংক আইপিপিআর কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ক্রমবর্ধমান হারে ব্রিটেনের বাসিন্দারা প্রাইভেট চিকিৎসা গ্রহনের দিকে ঝুঁকছেন। এতে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস- এর গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি একটি দ্বি-স্তর বিশিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি সৃষ্টি হতে পারে। কভিড মহামারি এনএইচএস সেবার মান এবং এতে প্রবেশের সুবিধা উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফলে বেসরকারী চিকিৎসা গ্রহনের প্রবণতা বাড়ছে। প্রতি ৬ জনে ১ জন লোক অপেক্ষার পরিবর্তে বেসরকারীভাবে চিকিৎসা গ্রহনের প্রস্তুতি নেয়।
আইপিপিআর এই বলে সাবধানবানী উচ্চারন করেছে যে, অদূর ভবিষ্যতে এনএইচএস- এর উচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা লাভ মুশকিল হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা হয়েছে বিদ্যমান রাষ্ট্র অর্থায়নকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এটা এখন অনেকটা একটি পোস্টকোড লটারির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইপিপিআর- এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ক্রিম থমাস বলেন, লোকজন এনএইচএস- এর সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না। কারণ তারা এটাকে সবচেয়ে উত্তম ও সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবার মডেল হিসেবে আর ভাবতে পারছে না। বরং যারা সমর্থ তারা প্রাইভেট অর্থ্যাৎ বেসরকারী চিকিৎসার দিকে ছুটছে। কৃচ্ছ্রতা, এনএইচ-এর সুবিধা লাভ ও মানের বর্তমান পরিনতি এবং তহবিলহীন ‘চালিয়ে নাও কিংবা বন্ধ করে দিও’ অবস্থায় নিপতিত দশা এই প্রবণতার জন্য দায়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যতোক্ষন না এনএইচএস অধিকতর ভালো তৎপরতা দেখাচ্ছে, ততোক্ষন লোকজন এনএইচএস- এ তাদের অধিকারের বিকল্প খুঁজবে প্রাইভেট হেলথ্ কেয়ার সেবায়। যদি সরকারী স্বাস্থ্য সেবা থেকে জনগনের বড়ো অংশ মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে সেটা একটি মার্কিন স্টাইলের আকস্মিক মুখ ফিরিয়ে নেয়ার মতো কিছু না হয়ে বরং এর পরিনতি হবে ইংল্যান্ডের ডেন্ট্রিস্ট্রির মতো, যেখানে জনগনের প্রবেশাধিকার স্বল্প ও অভিজাত শ্রেনীর মানুষের জন্য এবং ব্যয়বহুলও বটে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, এ ধরনের প্রবনতা ভোটারদের মধ্যে এনএইচএস- এর প্রতি গভীর ও ব্যাপক সমর্থনে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এবং লাখ লাখ রোগীকে অরক্ষিত করে তুলতে পারে তাদের নৃতাত্ত্বিক পটভূমি, পোস্টকোড, উপার্জন কিংবা চাকুরীর কারনে। আইপিপিআর- এর পক্ষে পরিচালিত ইউগভ- এর জরীপে দেখা গেছে, যদি রোগীরা জানতে পারে যে, তাদেরকে ১৮ সপ্তাহের বেশী সময় অপেক্ষা করতে হবে, তবে ১৮ শতাংশ রোগী প্রাইভেট চিকিৎসার জন্য চলে যাবে। প্রশ্নোত্তর কালে তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button