ব্রিটেনে ধর্ষকদের বিচারে ব্যাপক অসংগতির অভিযোগ
ব্রিটেনে পুলিশ এবং ক্রাউন প্রসিকিউটর কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গেছে,৬০ শতাংশ কথিত ধর্ষক এর আগে অন্যান্য অপরাধ সংঘটন করেছে। কিন্তু শুধুমাত্র ১.৩ শতাংশ ধর্ষকই বিচারের সম্মুখীন হয়েছে। সমীক্ষায় এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয় যে, ভিকটিম অর্থাৎ অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা অব্যাহতভাবে এবং পদ্ধতিগতভাবে বিচার পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে রেকর্ডকৃত ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে মাত্র ১.৩ শতাংশের বিচার হয়েছে। ২০২১ সালের শেষে ৫২ হাজার ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। কিন্তু মাত্র ৪৩০০টি রেফার্ড করা হয়। একমাত্র ১১০০টি কেসের সঠিক বিচার সম্পন্ন হয়।
এ অবস্থায় কনস্টেবলারির রাজকীয় ইন্সপেক্টর ওয়েন্ডি উইলিয়ামস্ সিস্টেমটি যথাযথভাবে কাজ না করার পরিণাম খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, ধর্ষন হিসেবে লিপিবদ্ধ যেকোন মামলা যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না এটা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা দক্ষতার সাথে কাজ করছে বলতে সক্ষম হবে ততক্ষণ তা কারো কোন কাজে আসবে না।
মিসেস উইলিয়ামস আরো বলেন, ইতিপূর্বে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ধর্ষকদের অধিকাংশই সিরিয়াল ক্রিমিনাল।
অ্যাভন ও সমারসেট পুলিশ ডাটায় দেখা যায় যে, প্রায় এক চতুর্থাংশ সন্দেহভাজন ধর্ষক ও মারাত্মক যৌন অপরাধের সাথে জড়িতরা একাধিক যৌন অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং ৬০ শতাংশ অন্যান্য সব ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত। ৪০ শতাংশ সন্দেহভাজন অপরাধী এর আগে পুলিশের নজরেই আসেনি।
এক কেস সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩ জন নারীকে ধর্ষণে জড়িত জনৈক ব্যক্তি অব্যাহতি পেয়ে গেছে। আগের রিপোর্টে এর একটির কথা বলা হয়নি বিবেচনায়। জনৈক জুরি তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। অন্য দু’জন ভিকটিম পুলিশকে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন এবং আদালতে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্ত সিপিএস তাদের সাক্ষ্য ব্যবহারের জন্য আবেদন প্রয়োজনীয় আবেদন করেনি। রিপোর্টে বলা হয়, আদালতের প্রক্রিয়া চলাকালীন বিলম্ব, দুর্বল যোগাযোগ ও নিষ্ঠুর জেরার সময় ভিকটিমরা অধিকতর মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেন।
মিসেস উইলিয়ামস আরো বলেন, একটি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট করতে সাহসের সাথে এগিয়ে আসা একজন ভিকটিমের প্রতি ফৌজদারি বিচার পদ্ধতি কতোটা বাজে ও অগ্রহনযোগ্য তা দেখে বিরক্তি ও গভীর হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে।
ইন্সপেক্টররা দেখতে পাচ্ছেন যে, বিচার শুরু হতে একটি অপরাধ রিপোর্টিংয়ের তারিখ থেকে গড়ে ৭০৬ দিন বিলম্ব হচ্ছে।