ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত মানেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ইউক্রেনের জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লড়বে না যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে মার্কিন সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকোচ করে দিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত শুক্রবার এক ঘোষণায় তিনি বলেন, ইউক্রেনে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবো না। ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি সরাসরি সংঘাত মানেই হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করা।
ইউক্রেনের জন্য না লড়লেও ন্যাটোর জন্য লড়ার কথা জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ন্যাটোর সমস্ত শক্তি দিয়ে ও দ্রুততার সাথে আমরা ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবো। এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ না করার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত মাসে তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা একে অপরের দিকে গুলি ছুঁড়লে, তা হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
বক্তব্যে বাইডেন বলেন, ন্যাটো একটি ‘একক জোট’, এ কারণে রাশিয়ার সীমান্তে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করবো ইউক্রেন যাতে অস্ত্র পায় এবং আগ্রাসনকারী রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে। আমরা ইউক্রেনের জনগণকে বাঁচাতে সেখানে অর্থ পাঠাবো, খাবার পাঠাবো, সাহায্য পাঠাবো। আমি ইউক্রেনের শরনার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমাদের উচিত তাদেরকে খোলা হাতে স্বাগত জানানো।
বাইডেন আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন কখনো জয় পাবে না। তিনি ভেবেছিলেন যুদ্ধ ছাড়াই ইউক্রেনের উপরে নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারবেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন ট্রান্স-আটলান্টিক জোটকে দুর্বল করে ফেলবেন, কিন্তু এখানেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ভাগ করে ফেলবেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা আজ ঐক্যবদ্ধ, সমগ্র বিশ্ব আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা পুতিনের বিরুদ্ধে আরও কঠিনভাবে আঘাত হানতে যাচ্ছি। এরইমধ্যে আমাদের নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার অর্থনীতিকে ভেঙ্গে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেনে অভিযানের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার ঘনিষ্ঠদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে বাইডেন প্রশাসন।