যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার মানের শোচনীয় হ্রাস
একটি নেতৃস্থানীয় থিংক ট্যাংক ‘রিজোলিউশন ফাউন্ডেশন’- এর তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনে সংঘাতের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা ব্রিটেনের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান হ্রাসে সহয়তা করবে, যা সত্তরের দশকের পর সর্বোচ্চ। আগামী অর্থবছরে আয় ৪ শতাংশ হ্রাস পাবে- যা প্রতিটি গৃহস্থালীতে গড়ে ১ হাজার পাউন্ডের সমতূল্য। ইউক্রেন যুদ্ধ যুক্তরাজ্যব্যাপী জীবনযাত্রার বিদ্যমান সংকটে তা যুক্ত করবে।
এবারের বসন্তের মূল্যস্ফীতি ৮.৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা ১৯৮২ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ হিসেবে গন্য হবে। থিংক ট্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম করলেট বলেন, ব্রিটেন একটি মহামারি থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং একটি জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে পড়েছে। ইউক্রেনের দুঃখজনক সংঘাত সম্ভবত: জ্বালানীসহ অন্যান্য সামগ্রীর আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে এবং ব্রিটেনব্যাপী বিদ্যমান আয় সংকোচনকে আরো সংকুচিত করে তুলবে। মূল্যস্ফীতি নব্বইয়ের দশকের প্রথমভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
পূর্ব ইউরোপীয় দেশে রাশিয়ার ভয়াবহ আগ্রাসন প্রধান পন্য বাজারসমূহে চাপ সৃষ্টি করেছে। গত সোমবার অপরিশোধিত তেলের দাম গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায়। ইউক্রেনের উল্লেখযোগ্য পরিমান গম ও যব উত্তোলনও বিঘ্নিত হচ্ছে। রাশিয়া ও বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে সেসব দেশ থেকে রাসায়নিক সার আমদানিও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। গৃহস্থালীর অর্থনীতির ওপর মারাত্মক চাপের বিষয়ে হুশিয়ারী উচ্চারন করেছে পরামর্শদাতা সংস্থা ‘প্যানথিয়ন ম্যাক্রোইকোনোমিক্স’। সংস্থাটি চলতি বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে প্রায় ৮ শতাংশের একটি যমজ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছে। রেগুলেটর অফজেম-এর জ্বালানী প্রাইস ক্যাপ বা মূল্যসীমা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তারা এই আভাস দিয়েছে।
ব্রিটেনের লেবার এমপি ও ছায়া চ্যান্সেলর র্যাচেল রীভস্ বলেন, অধিকাংশ লোকের তাদের কর্মজীবনে এধরনের মূল্যবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা হয়নি। মিসেস রীভস মনে করেন, চলতি বসন্তে চ্যান্সেলরের জাতীয় বীমার মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা ‘ভুল সময়ে ভুল করারোপ’। তিনি আরো বলেন আমি মনে করিনি যে এটা একটি ভাল ধারনা, যখন চ্যান্সেলর তা ঘোষনা করেন।