নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাজ্যের গৃহস্থালীর আয় ২৫০০ পাউন্ড হ্রাস পাবে
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ধাক্কায় যুক্তরাজ্যের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে। এই হামলার শকওয়েভে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি গৃহস্থালীর জীবনযাত্রার মান থেকে ২৫০০ পাউন্ড কর্তনের শংকা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে আগামী বছর অধিকতর স্থায়ী মূল্যস্ফীতির চাপ ও অর্থনৈতিক ধীরগতি পরিলক্ষিত হবে, এমন ধারনা অথীনীতিবিদদের।
ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদেশসমূহের নিষেধাজ্ঞা বিস্তারের সংবাদগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর পূর্বাভাস প্রদানকারীরা ২০২২ ও ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির হিসাব কর্তন করেছেন এবং জীবনযাত্রার মানের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে অধিকতর বিষন্ন হয়ে পড়েছেন। ‘সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স এন্ড বিজনেস রিসার্চ কনাসলট্যান্সি’ বলেছে, ১৯৫৫ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে জীবনযাত্রার মানের সম্ভাবনা এখন সবচেয়ে বড়ো আঘাত পেয়েছে। ফলে চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে ২৩ মার্চ তার বসন্তকালীন বিবৃতিতে নতুন সহায়তার কথা ঘোষনা করতে হতে পারে।
সিইবিআর বলেছে, ধারনার ভিত্তিতে বলা যায়, নিষেধাজ্ঞাগুলো বৈশ্বিক দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। পূর্বঘোষিত প্রবৃদ্ধির হার ২০২২ সালে ৪.২ শতাংশ থেকে ১.৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আর ২০২৩ সালের অনুমিত প্রবৃদ্ধি ২.০ শতাংশ থেকে ০.০ শতাংশে নেমে যেতে পারে। তবে বসন্তে এটা সর্বোচ্চ ৮.৭ শতাংশ-ই থাকবে। আর মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ৭ শতাংশের ওপরে থাকার সম্ভাবনা।
এতে আরো বলা হয়েছে, অধিকতর দ্রব্যমূল্যের দরুন ডিসপোজেবল ইনকাম ২০২২ সালে ৪.৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে আরো ১.৪ শতাংশ হ্রাস পাবে। এবছর পূর্বাভাসকৃত জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাবে ৭১ বিলিয়ন পাউন্ড, এতে ২০২২ সালে প্রতিটি গৃহস্থালীর ডিসপোজেবল ইনকাম কমবে ২৫৫৩ পাউন্ড।
২০২২ সালের এই পতন ১৯৫৫ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ। সিইবিআর আরো বলেছে, চ্যান্সেলর বর্তমানে তার বসন্তকালীন বিবৃতিতে একটি মিনি-বাজেট করার পরিকল্পনা করছেন না। তবে তিনি সম্ভবত: অর্থনীতিকে আগামী ২৩ মার্চ একটি আধা যুদ্ধকালীন কাঠামোতে উপস্থাপন করবেন।
আইএনজি ব্যাংকের উন্নত বাজার অর্থনীতিবিদ জেমস্ স্মিথ বলেন, যুদ্ধ ইউক্রেনে এবং জ্বালানী ব্যয়ের সংশ্লিষ্ট বৃদ্ধির মানে হচ্ছে একটি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি যে, যুক্তরাজ্য একটি ভোক্তা ব্যয় হ্রাসে প্রবেশ করবে। ক্যাপিটাল ইকোনোমিক্স – এর ইউকে ইকোনোমিস্ট পল ডেইলস্ বলেন, এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৮.৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে- যা পূর্বে ৮ শতাংশের পূর্বাভাস দেয়া হয়। আর ডিসেম্বরে ৪.৬ শতাংশের পরিবর্তে তা হতে পারে ৬.৬ শতাংশ।