ব্রিটেনে ২০২০ সালে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশ ছিলো পরিহারযোগ্য
ব্রিটেনে ২০২০ সালে সংঘটিত সকল মৃত্যুর প্রায় এক চতুর্থাংশ এড়ানো যেতো বলে মনে করা হয়। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস)- এর এক নতুন বিশ্লেষণে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ওএনএস বলেছে, ৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫ টি মৃত্যুর মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮ টি মৃত্যু অর্থ্যাৎ ২২.৮ শতাংশ মৃত্যু এড়ানোর মতো ছিলো। ২০১০ সালের পর থেকে এই হার সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের এড়ানোর যোগ্য মৃত্যুর মধ্যে ৬৮.৬ শতাংশের কারনগুলো সম্পূর্ন পরিহারযোগ্য ছিলো এবং ৩১.৪ শতাংশ চিকিৎসা যোগ্য ছিলো। করোনাভাইরাস পরিহারযোগ্য মৃত্যুর সংজ্ঞায় একটি এড়ানোর যোগ্য কারন হিসেবে বিবেচিত। কভিড-১৯ এর কারনে ওয়েলসে পরিহারযোগ্য মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। এখানে প্রতি ১ লাখে ৩৬.১ শতাংশ মৃত্যু ছিলো এধরনের। স্কটল্যান্ডে ছিলো সর্বনিম্ন, ১ লাখে ২.৫ টি। আর ইংল্যান্ডে ছিলো লাখে ৩৪.৯।
ওএনএস- এর পরিসংখ্যান অনুসারে, সকল দেশেই মদ্য ও মাদকের কারনে পরিহারযোগ্য মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গেছে, স্কটল্যান্ডে সবচেয়ে বেশী ‘এইজ স্ট্যান্ডার্ডাইজড মর্টালিটি রেইট (এসএমআর), যা ১ লাখে ৫২.১ টি মৃত্যু। অন্য দু’টি দেশের তুলনায় এটা পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্নভাবে অধিক। তুলনামূলকভাবে তা ইংল্যান্ডে সর্বনিম্ন, যা ১ লাখে মদ্য ও মাদক জনিত ২৪.০ টি মৃত্যু।
তিনটি দেশজুড়ে ২০২০ সালে মদ্য ও মাদকজনিত মৃত্যু বৃদ্ধির জন্য মদ্যপায়ীদের লিভারের রোগ, দুর্ঘটনাবশত: বিষক্রিয়া, অনির্দিষ্ট মাদক, মেডিকামেন্ট ও বায়োলজিক্যাল উপাদান বিশেষভাবে দায়ী।
২০২০ সালে স্কটল্যান্ডে ক্যান্সারে পরিহারযোগ্য মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশী, যা প্রতি লাখে ৯৮.০ টি। এছাড়া এটা পরিসংখ্যানগতভাবে অন্য দু’টি দেশের চেয়ে বেশী। ইংল্যান্ডে এটা প্রতি লাখে ৭৭.৮ এবং ওয়েলসে ৮৬.৬।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহের ক্ষেত্রে ব্ল্যাকপুলে পুরুষের পরিহারযোগ্য মৃত্যুর হার সর্বাধিক (প্রতি লাখে ৩৫৫.৮ টি মৃত্যু)। এটা হার্ট’র চেয়ে ৩.২ গুণ বেশী। ব্ল্যাকপুলের হার অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহের চেয়ে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্নভাবে অধিক। অপরদিকে মিডলসব্রাফে নারী মৃত্যুর হার অধিক, যা লাখে ২০৫.৪ টি। এটা অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহের চেয়ে বেশী, যা ৯৬.৪ শতাংশ অধিক। এটা মধ্য সাসেক্স এর চেয়েও ৩.৯ গুণ বেশী।