যুক্তরাজ্যে খাদ্যপন্যের দাম ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যসামগ্রীর প্রতিষ্ঠান ‘টু সিস্টার্স’- এর প্রধান রোনাল্ড কারস্ বলেছেন, চলতি বছর খাদ্য সামগ্রীর মূল্য ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। কারস্ আরো বলেন, খামার থেকে মুরগী কিনতে গিয়ে কোম্পানীগুলোকে বর্ধিত মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের ময়দা প্রস্তুতকারক জিআর রাইট এন্ড সন্সও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, যুদ্ধের কারনে ময়দার মূল্য যে বৃদ্ধি পাবে, তা নিশ্চিত।
বলা বাহুল্য; রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গম রফতানিকারক দেশ, যুদ্ধে যার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া গ্যাসের মূল্যও গ্রীনহাউসগুলোকে অসুবিধায় ফেলবে। বিঘ্ন ঘটাবে রাসায়নিক সার উৎপাদনে। এতে হ্রাস পাবে খাদ্য উৎপাদন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলে যুদ্ধ অধিক মূল্যবৃদ্ধির কারন হতে পারে। ‘টু সিস্টার্স’ যুক্তরাজ্যে ১৪ হাজারেরও বেশী কর্মী নিয়োগ করেছে। এসব নিয়োগ বিশেষভাবে পোল্ট্রি এবং হিমায়িত খাদ্য খাতে দেয়া হয়েছে।
টু সিস্টার্স- এর প্রধান আরো জানান যে, প্রতিষ্ঠানটিকে ইতোমধ্যে মুরগী ক্রয় বাবত ৫০ শতাংশ বেশী মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, যদি যুদ্ধ কয়েক মাস অব্যাহত থাকে, তবে আমাদের দেশকে কম আমদানি এবং নিজেদের অধিক উৎপাদনে নিয়োজিত করতে হবে। একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আমাদের সকল সাপ্লাই চেইনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, যা একটি অত্যন্ত জটিল বিষয়।
মিঃ কারস্ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসা সকল বিষয়কে অধিকতর জটিল করে ফেলেছে। কৃষকদের জন্য একটি বৃহত্তর প্রশাসনিক দায়ভার এবং মহাদেশটির খাদ্য কোম্পানীগুলোর নীতিমালার কম সংগতির বিষয়টি এক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ময়দা উৎপাদনকারী কোম্পানী জিআর রাইট এন্ড সন্স- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাইট বলে, মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব অনিবার্যভাবেই ভোক্তাদের ওপর পড়বে। তিনি বলেন, প্রতিটি গমভর্তি লরির জন্য এখন খামারকে অতিরিক্ত ২৫০০ পাউন্ড পরিশোধ করতে হচ্ছে।