অর্ধেকের বেশী ভোটার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চান
যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ চান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন সত্বেও তারা তা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে চান এমন ভোটারের আনুপাতিক হার বিশেষভাবে হ্রাস পেতে দেখা যাচ্ছে। যা-ই হোক, নতুন এক জরীপে দেখা গেছে, ৫৩ শতাংশ ভোটার এখনো চান, বরিস যেনো বিদায় নেন। গত জানুয়ারীর পর এটা ১০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।
ইউক্রেন সংকটের ব্যাপারে ৫২ শতাংশ অর্থ্যাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক মনে করেন, যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনীয় শরনার্থী গ্রহনে সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তারা নিজেরা কি ইউক্রেনীয় শরনার্থী গ্রহন করবেন, তখন ৯ শতাংশ জানান যে, তারা তা করবেন। আর ২০ শতাংশ বলেন, তারা তা বিবেচনা করে দেখবেন। প্রায় ৬৩ শতাংশ বলেন যে, ইউক্রেনীয় শরনার্থী গ্রহনের মতো অবস্থায় তারা নেই। ৮ শতাংশ বলেন যে, তারা তা করবেন না।
যুক্তরাজ্যের চার পঞ্চমাংশ অর্থ্যাৎ ৭৮ শতাংশ ভোটার ইউক্রেনে অস্ত্র প্রেরণ সমর্থন করেন। একইভাবে প্রতি ১০ জনে ৭ জন অর্থ্যাৎ ৬৮ শতাংশ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার লক্ষ্যে দেশটির বিমান বাহিনীর জন্য পশ্চিমা জঙ্গী বিমান প্রদানের বিষয়টি সমর্থন করেন।
ইউক্রেনে একটি সম্ভাব্য নো-ফ্লাই জোনের বিষয়ে ভোটারদের বিভক্ত অবস্থায় দেখা যায়। ৪০ শতাংশ বলেন, তারা নো-ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিমান বাহিনীর সহায়তাকে এবং তা লংঘনের ক্ষেত্রে রুশ বিমানকে গুলি করে নামানোর বিষয়টিকে সমর্থন করেন।
তবে ৩৯ শতাংশ ভোটার এ ব্যাপারে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে ভোটারদের মাঝে স্পষ্ট উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। যারা মনে করেন আগামী বছর অর্থনৈতিক অবস্থা আরো খারাপ, তাদের সংখ্যা আগের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশ। আবার ৫৭ শতাংশ মনে করেন, তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটবে। এদের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়েছে।
বরিস জনসনের নেট অ্যাপ্রোভেল রেটিং নিম্ন পর্যায় থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা তার কাজ অনুমোদন করেন তারা ২৭ শতাংশ, আর যারা অনুমোদন করেন না অর্থ্যাৎ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান না, তারা ৫৪ শতাংশ। অবশ্য এক পক্ষকাল আগে জরীপের তুলনায় নেট অ্যাপ্রোভাল রেটিং ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। ঐ সময় এটা ছিলো মাইনাস ২৭। অপরদিকে লেবার নেতা কেইর স্টার্মারের রেটিং অপরিবর্তিত রয়েছে, আর তা হচ্ছে মাইনাস ২।
সামগ্রিকভাবে লেবারের নেতৃত্ব রক্ষনশীলদের চেয়ে মার্জিন্যালি ২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। স্টার্মারের দলের প্রাপ্ত সমর্থন ৩৭ শতাংশ, আর রক্ষনশীলদের ৩৫ শতাংশ।