পারিবারিক নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত ৮০ শতাংশ পুলিশ চাকুরী করছেন
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজম-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩১৯ জন পুলিশ অফিসার ও স্টাফের মধ্যে ১ হাজার ৮০ জনের বিরুদ্ধে গত তিন বছরে পারিবারিক নিপীড়নের অভিযোগ করা হয়েছে, যারা এখনো চাকুরী করে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যব্যাপী ৪১ ফোর্স থেকে জবাব পাওয়া গেছে।
মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩৬ জন কর্মকর্তা ও স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ২০৩ জন হয় পদত্যাগ করেছেন কিংবা অবসর গ্রহণ করেছেন অথবা চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন।
এক নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বৃটেনে পারিবারিক নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সহস্রাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও স্টাফ চাকুরীতে বহাল রয়েছেন। দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনকে এধরনের অভিযোগের পরেও চাকুরীতে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র এক ক্ষুদ্র অংশকে শাস্তি পেতে কিংবা বরখাস্ত হতে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও প্রচারাভিযানকারীরা বলেন, এই পরিসংখ্যান পুলিশিংয়ে বাড়তি সমস্যার প্রমাণ। এটি শুধু কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের নারী বিদ্বেষই নয় বরং অপকর্মকারীদের দমনে নেতৃত্বের ব্যর্থতা।
মাত্র ৯ দশমিক ১ শতাংশ অর্থাৎ!১২০জন কর্মকর্তা ও স্টাফকে লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পারিবারিক নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও স্টাফের হার মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যা সাধারণ জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
চ্যারিটি রিফিউজ-এর প্রধান নির্বাহী রুথ ডেভিসন এই পরিসংখ্যানকে বিপজ্জনক আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এক্ষেত্রে নারী বিদ্বেষ বিদ্যমান। শুধু মেট্রোপলিটন পুলিশেই নয় বরং গোটা দেশের পুলিশ বাহিনীতে তা বিদ্যমান। পুরো পুলিশ বাহিনীতে মৌলিক পরিবর্তন দরকার।
পুলিশের সর্ববৃহৎ বাহিনী মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অফিসার ও স্টাফদের বিরুদ্ধে ৩৯৮টি পারিবারিক নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মাত্র ৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।অবশিষ্টদের এখনও চাকুরীতে বহাল রাখা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুলিশ বাহিনী স্কটল্যান্ড পুলিশে গত ৩ বছরে ৬৭ টি অভিযোগ পাওয়া গেলেও কাউকেই বরখাস্ত করা হয়নি। লন্ডন মেয়র সাদিক খানের জনৈক মুখপাত্র বলেন, দুঃখজনক পরিসংখ্যানসমূহ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।