৮০ শতাংশ জিপি’র মতে সার্জারিতে রোগীরা ঝুঁকিতে থাকে

ব্রিটেনের ৮০ শতাংশেরও বেশী জেনারেল প্র্যাকটিশনার অর্থ্যাৎ জিপি মনে করেন যে, যখন তারা সার্জারীতে আসেন তখন রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সম্প্রতি এক নতুন সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ১ হাজার ৩৯৫ জনের ওপর পরিচালিত এক জরীপে শুধুমাত্র ১৩ শতাংশ বলেছেন যে, তাদের প্র্যাকটিস বা অনুশীলন রোগীদের জন্য সর্বদা নিরাপদ। ৮৫ শতাংশ রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আর ২ শতাংশ বলেছেন, রোগীরা কদাচিৎ নিরাপদ। আর জরীপে অংশগ্রহনকারী ২২ শতাংশ জিপি বলেছেন, রোগীরা কোন কোন সময় নিরাপদ। ৬১ শতাংশ বলেন, রোগীরা অধিকাংশ সময়ই নিরাপদ।
সার্জারী অর্থ্যাৎ শল্য চিকিৎসায় রোগীদের ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্ন করা হলে ৭০ শতাংশ অংশগ্রহনকারী বলেন, হ্যাঁ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা গেছে, পারিবারিক চিকিৎসকরা রোগীদের যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন না। জনবল সংকট, বিদ্যমান অব্যাহত কাজের চাপ এবং প্রশাসনিক দায়দায়িত্বের দায়ভার সেবা গ্রহনকারী লোকজনের ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারন।
জরীপে দেখা গেছে, ৯১ শতাংশ জিপি বলেছেন, অধিক সংখ্যক জিপি নিয়োগ করা হলে জেনারেল প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে উন্নতি হতে পারে। ৮৪ শতাংশ জিপি জানান যে, গত বছর জুড়ে তাদের চাকুরীতে দুঃশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কিংবা বিষন্নতা সম্পৃক্ত ছিলো। ৩১ শতাংশ জিপি জানেন যে, গত বছর একজন রোগী কর্তৃক তাদের একজন সহকর্মী নিগৃহীত হন। ২৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, কাজের চাপের জন্য জেনারেল প্র্যাকটিস স্টাফ- এর একজন সদস্য আত্মহননের পথ বেছে নেন।
প্রমানাদি থেকে দেখা যায় যে, কোন বিশেষ দিনে রোগীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে যখন ২৫/৩০ টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যায়, তখন একজন জিপি কর্তৃক খারাপ সিদ্ধান্ত নেয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এর জিপি কমিটির সহ-সভাপতি এবং লিংকনশায়ারের একজন জিপি ডাঃ কিয়েরান শ্যারক একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রায়ই ক্যান্সারের একটি লাল সংকেত পেতে ব্যর্থ হই, ইতোমধ্যে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের ভিড়ে।সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, এনএইচএস- এর সবচেয়ে বড়ো সংকট হচ্ছে জনবল সংকট। অপেক্ষমান রোগীর জট নিরসনে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসককে প্রশিক্ষন প্রদান এবং যারা আছেন তাদের ধরে রাখার কোন বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button