যুক্তরাজ্যে দুধের ঘাটতি দেখা দিতে পারে
ব্রিটেনের বৃহত্তম ডেইরী ‘আরলা ফুডস’ এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, দুগ্ধ উৎপাদনের ব্যয় ক্রমশ: বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন দেশে দুধের সরবরাহ হ্রাস পেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, অতীতে কখনো উৎপাদন ব্যয় এতো বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি। খামারিদের এখন ব্যয় পোষাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খামারিদের অধিক অর্থ পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা দুধের যোগান অব্যাহত রাখতে পারেন।
আরলা ফুডস- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশ আমিরাহমাহদী বলেন, বর্তমান সংকটের কারনে গো-খাদ্য, জ্বালানী ও সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। ফলে ফার্মে নগদ অর্থের সরবরাহ নেতিবাচক। গত ৭ বছর যাবৎ খামারিরা প্রার্থিত পরিমানের চেয়ে বেশী দুধ উৎপাদন করছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী মাসে এটা ২ শতাংশ এবং মার্চে ৪ শতাংশ হ্রাস পায়। মিঃ আমিরাহমাহদী বলেন, খরচ ৩৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজটি হচ্ছে, খামারিদের দিকে সহায়তায় হাত বাড়াতে হবে এবং তাদের অধিক অর্থ দিতে হবে যাতে তারা দুগ্ধ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে।
এর অর্থ হচ্ছে, উৎপাদন ব্যয় সংকুলানের জন্য সুপার মার্কেটগুলো থেকে অধিক দামে দুধ কিনতে হবে। দুধের দাম এক দশক আগের তুলনায় বর্তমানে ৭ শতাংশ কম। যদিও ভোক্তাদের পরিশোধিত একই পরিমান অর্থ খামারিদের প্রাপ্ত অর্থে সংযোজন হয় না।
সুপারমার্কেটসমূহের খামারিদের সাথে সরাসরি চুক্তি রয়েছে। তাদের নিজেদের উৎপাদন মডেলের খরচের ভিত্তিতে এটা করা হয়। কিন্তু এটা ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
মিঃ আমিরাহমাহদী আরো বলেন, আগামী ৫ বছর আমাদেরকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেখতে হবে দুধ কোথায় যাচ্ছে, যাতে খামারিরা তাদের খরচ পোষাতে পারে।
আরলা মনে করে, বিশ্বব্যাপী ডেইরীর চাহিদা বৃদ্ধি ফলে ব্রিটিশ খামারিদের জন্য ফ্রেশ দুধ রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রক্রিয়াকরনের জন্য দুধ তাদের ইউরোপীয় সাইটগুলোতে পাঠাতে পারে, যা পরে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করা হবে। অবশ্য এক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।
দেখা গেছে, দেশের তুলনায় বিদেশে খামারিদের ১৫ শতাংশ বেশী মূল্য পরিশোধ করা হয়।